দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর হাতে গ্রেফতার কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেল ও কক্সবাজারের সাবেক অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
গ্রেফতার তিন আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের পক্ষে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে আজ রবিবার (৪ এপ্রিল) কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈল এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুদকের পিপি আবদুর রহিম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার ‘দালাল’ সিন্ডিকেটের সদস্য হিসাবে দুর্নীতির মামলায় গ্রেফতার কক্সবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ কায়সার নোবেলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩১ মার্চ এবং বিজয় সিংহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ রবিবার দুদকের পক্ষ থেকে পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছিল।
শুনানির পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে।
জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে মিয়ানমারের নাগরিকদের পাসপোর্ট পেতে সহায়তা করার অভিযোগে দুদকের করা অপর মামলায় গত ২৮ মার্চ গ্রেফতার হন কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেল, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম ও কক্সবাজার পৌরসভার কর্মচারী দিদারুল ইসলাম।
ঐ মামলায় গ্রেফতারের পর কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেলকে জমি অধিগ্রহণ দুর্নীতি মামলায়ও গ্রেফতার দেখায় দুদক।
দুদক সূত্র জানায়, একই মামলায় গ্রেফতার হওয়া দালাল মো. সেলিম উল্লাহর দেওয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে এসেছে সাবেক কাউন্সিলর জাবেদ মোহাম্মদ কায়সার নোবেলের নাম।
তিনি অধিগ্রহণ শাখার দালালদের অর্থ বিনিয়োগ করতেন বলে তথ্য পেয়েছে দুদক।
নোবেল ও তার স্ত্রী শামীমা ইয়াছমিনের নামে মোট ১৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৮ টাকা জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া গেছে।
এর মধ্যে ২ কোটি ২১ লাখ ৩৬ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ও ১১ কোটি ১৩ লাখ ২১ হাজার ৭৭৮ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
তার ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে।
ঐ সম্পদ তিনি ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন।
উল্লেখিত সম্পদ ক্রোক/ফ্রিজপূর্বক দুর্নীতি দমন কমিশনকে রিসিভার নিয়োগ করার জন্যও আবেদন করা হয়েছে।
অন্যদিকে বিমানবন্দরের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকদের কাছ থেকে কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ঘুষ নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।