নগরীর পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় পরিচয়পত্র (স্মার্ট কার্ড) বিতরণ শুরু হয়েছে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নতুন ভোটারদের মাঝে (২০১৯ সালে যারা ভোটার হয়েছেন) স্মার্ট কার্ড বিতরণ করছে নির্বাচন কমিশন।
তবে উপজেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২০০৮ সাল থেকে সর্বশেষ ২০১৯ সাল পর্যন্ত যারা ভোটার হয়েছেন তাদের সব স্মার্ট কার্ড চলে এসেছে। অন্যান্য উপজেলায় শুধুমাত্র ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড এসেছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
বোয়ালখালী, সাতকানিয়া ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৩৮ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড এসেছে। এখন বিতরণ শুরু হয়েছে। এদিকে রাউজান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অরুণ উদয় ত্রিপুরা আজাদীকে জানান, রাউজান উপজেলায় শুধু ২০১৯ সালের ভোটারদের স্মার্ট কার্ড এসেছে। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত যারা ভোটার হয়েছেন তাদের স্মার্ট কার্ড আসেনি।
চট্টগ্রাম নির্বাচন অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, পুরো নগরীর ৪১ ওয়ার্ড ও ১৬ থানাকে নির্বাচন কমিশন ৬টি জোনে ভাগ করেছে। এই ৬টি জোন হল-কোতোয়ালী থানা এলাকা, পাঁচলাইশ থানায় এলাকা, চান্দাগাঁও থানা এলাকা, ডবলমুরিং থানা এলাকা, পাহাড়তলি থানা এলাকা ও বন্দর থানা এলাকা। ২০১৯ সালের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় ১৫ হাজার ৬২৫জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড , চান্দগাঁও থানা এলাকায় ১৭ হাজার ৭৯৩ জন ভোটারের, কোতোয়ালী থানা এলাকায় ৯ হাজার ২৯৬ জন ভোটারের, ডবলমুরিং থানা এলাকায় ১৬ হাজার ৮৬৭ জন ভোটারের, পাহাড়তলী থানা এলাকায় ১১ হাজার ৬৬৫জন ভোটারের এবং বন্দর থানা এলাকায় ১৭ হাজার ৭৪৪ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস থেকে গতকাল জানা গেছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ২ লাখ ৪৮ হাজার ৮১২জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড, বোয়ালখালী উপজেলায় ১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৩৩ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড এবং সাতকানিয়া উপজেলায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলায় ২০০৮ সালের ভোটারদের স্মার্ট কার্ড ২০১৮ সালে বিতরণ করা হয়েছে। এখন ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। আনোয়ারায় ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড এসেছে ৭ হাজার ৯৩১ জন ভোটারের অপরদিকে হাটহাজারীতে ২০১৯ সালের স্মার্ট কার্ড এসেছে ২১ হাজার ৭৯৪ জন ভোটারের।
