চট্টগ্রাম বন্দর ও সিইপিজেডের কাছে আবারো ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ চেয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আব্দুল মাবুদ সড়কের উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করেন সুজন। এ সময় উক্ত এলাকার নালা-নর্দমায় মশার ওষুধ ছিটানো হয়। প্রশাসক এলাকাটি ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয় নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সুজন বলেন, আব্দুল মাবুদ সড়ক এলাকায় সিইপিজেডসহ বিভিন্ন কল-কারখানার শ্রমিকরা বসবাস করেন। এই এলাকার ভেতর দিয়ে ৫ নম্বর খালটি প্রবাহিত হয়েছে। সল্টগোলা ক্রসিং মোড় থেকে শুরু হওয়া খালটি বন্দর ও সিইপিজেডের বর্জ্যে অনেকটা ভরাট হয়ে যায়। এছাড়াও সিইপিজেডের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাতায়াতের সুবিধার্থে আব্দুল মাবুদ সড়ক এলাকায় বসবাস করেন। এতে একদিকে যেমন শ্রমিকদের কর্মঘণ্টার সাশ্রয় হয়, অপরদিকে লাভবান হয় সিইপিজেডের কারখানাগুলো।
প্রশাসক বলেন, নাগরিক সেবা নির্বিঘ্ন রাখলেও পৌরকর এবং সরকারি থোক বরাদ্দ ছাড়া চসিকের আয়ের খাত নেই। অথচ নগরবাসী ছাড়াও বন্দর, সিইপিজেডের মত প্রতিষ্ঠানগুলো চসিকের উপকারভোগী। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে ১ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দাবি করেন প্রশাসক সুজন।
তিনি বলেন, বন্দর ও সিইপিজেডের ভারি যানবাহনগুলো নগরীর সড়ক ব্যবহার করে। এ কারণে সময়ের আগেই ভেঙে যাচ্ছে সড়কগুলো। তাই ওজনস্কেল বসানোসহ টেকসই সড়ক নির্মাণে তাদের এগিয়ে আসা প্রয়োজন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন হারুনুর রশীদ, আবু তাহের, সুলতান নাছির, আকবর হোসেন, কাউন্সিলর প্রার্থী জিয়াউল হক সুমন, চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব শর্মা, সেলিম আফজাল, নুরুল বশর, মোহাম্মদ লোকমান, জাবের হোসেন, জাবের নাছির উদ্দিন, মো. সুলতান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।