মুখে মাস্ক পড়া না থাকলে সরকারি-বেসরকারি কোনো অফিসে গিয়ে কেউ যাতে কোনো সেবা না পায় তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান। সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে এদিন মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়।
‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তি সবাইকে এই কাজে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, যেহেতু (করোনাভাইরাস) পৃথিবীতে স্প্রেড করছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং অ্যাকশনে যেতে হবে, যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বার বার আলোচনায় আসছে। খবর বিডিনিউজের। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নো মাস্ক, নো সার্ভিস এটা মুখে বলছি, এটাকে প্র্যাকটিক্যালি অ্যাপ্লাই করতে হবে। যে মাস্ক না পাে আসবে সে সরকারি-বেসরকারি যে অফিসেই আসবে কোনোভাবেই যেন সেবা না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে এ বিষয়ে বড় ভূমিকা পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন একটা সুবিধা হচ্ছে, আমরা তো বুঝতে পারছি। মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এখন ট্রিটমেন্ট প্রটোকল বোঝা যাচ্ছে, হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট বোঝা যাচ্ছে, যার জন্য এখন মোটামুটি সবাই। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে গত জুলাই মাসের শেষ দিকে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে সরকার। অতি সংক্রামক এই ভাইরাস প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু ডেকে আনলেও নানা অজুহাতে এখনও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। সে কারণে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে।