শুদ্ধ স্বপ্নের বাস্তবতায় মানুষেরা যখন জেগে ওঠে,ওরা তখন
পালাতে পালাতে পরাজয় স্বীকারে সাব্যস্ত হয়;
আমাদের ছিলো
এগিয়ে যাবার উৎসাহটা কর্ণফুলি নদীর স্রোতের
মতো বেগবান।
‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ; শৌর্য-বীর্যের কথকতা শোনো
বিজয়ের গানে।
বহুদিন পর গ্রাম ও শহরের রাজপথে দেখি,
চিরজাগরূক প্রতিবাদী কণ্ঠের ঢেউ।
চোখে-মুখে যেন বিদ্যুৎঝলক।
কেমন তেজ তা বুঝবো
মুখোমুখি পাল্লায়,দিকবদলের আগে-পরে।
দূষিত বাতাস কী ভাবে
ধাক্কা দিয়ে পাল্টে দেয়;এই জনমেই তা
দেখা হয়েছে অনেকবার।
এ’বয়সে বারবার উৎসাহ আর শুদ্ধচিন্তা পাড় ভেঙেছে,স্রোত হয়ে
ভেসে যেতে দেখেছি নদী থেকে সাগরে।কালের কণ্ঠস্বর,সন্দিগ্ধ
বিষাদের হাট নয়।এতো পোড় খাওয়া রঙে-রূপে এক বৈচিত্রময়
জীবনস্বপ্নে দীক্ষিত সেই কষ্ট পাওয়া মানুষের স্বর।
উপনিবেশ থেকে শৃঙ্খল ভাঙার কারিগরদের স্বর।
সোনামাখা আকাশে বিজয়-পতাকা ওড়ানোর স্বর।
বিজয় শব্দটার অর্থ,রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাস্কর্যের স্বীকৃতি।