টেবিলের ওপর থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হাজারো ইয়াবা। পাশেই এক নারী তার শিশু সন্তানকে ধরে রেখেছে। আড়াই বছর বয়সী ওই শিশুটিও তার মা’কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছে। তার চোখেমুখে রাজ্যের ভয়। ফ্যালফ্যাল করে তাকাচ্ছে এদিকওদিক। মাদক মামলার আসামি তার মায়ের নাম জহুরা খাতুন (৩৭)। গতকাল মঙ্গলবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাকলিয়া নতুন ব্রিজ এলাকায় একটি তল্লাশি চেকপোস্ট থেকে দুই হাজার পিস ইয়াবাসহ তাকে আটক করে। জহুরাকে যখন আটক করা হয় তখন তার কোলে ছিল ওই শিশুটিও। জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মেট্রো অঞ্চলের উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান আজাদীকে বলেন, বিভিন্ন সময় নারীরা বাচ্চাদের ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করে থাকে। এর আগেও বিভিন্ন সময় ইয়াবা পাচারের ঘটনায় শিশুসহ নারী আটক হয়েছিল। এটা মূলত ইয়াবা পাচারকারীরা একটা কৌশল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে। কোলে বাচ্চা থাকলে সহজে আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর সন্দেহের চোখ এড়ানো যায়- এমনটাই মনে করে থাকে পাচারকারীরা। মূলত এখানে শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে। জহুরার সাথে থাকা আড়াই বছরের শিশুটি নিজের বলে সে আমাদের জানিয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা বলেন, ইয়াবাসহ আটক হওয়া এসব নারীদের যখন আদালতে তোলা হয় তখন তারা কোলে বাচ্চা রেখে অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা করে থাকে। এগুলো মূলত এক ধরনের প্রতারণা।
দপ্তরের তথ্য মতে, মঙ্গলবার ইয়াবাসহ আটক জহুরা খাতুন টেকনাফ উপজেলার নুরালী পাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। ইয়াবা পাচারের অভিযোগে জহুরার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয় বাকলিয়া থানায়। একইদিন কোতোয়ালী থানাধীন মেরিনার্স রোড এলাকা থেকে জাহেদ হোসেন (২৯) নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ হাজার ৫৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক আরেকটি টিম। টেকনাফের করাচি পাড়া এলাকার মৃত জাফর আলীর ছেলে জাহেদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।