লোহাগাড়ায় ধানক্ষেতে হাতির মৃতদেহ

গুলিবিদ্ধ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২০ at ১০:১৬ পূর্বাহ্ণ

লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ায় ধানক্ষেতে পাওয়া গেছে বন্যহাতির গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ। গতকাল সোমবার কুমিরাঘোনা চাকফিরানী এলাকার দক্ষিণে ঘোনার বইন্না বিলে এই ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি হাতিটি বিদ্যুতের তারেও জড়িয়ে পড়েছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক উদ্দিন জানান, স্থানীয়রা মৃতহাতিটি দেখে আমাকে জানায়। পরে বিষয়টি আমি বনবিভাগকে অবহিত করি।
স্থানীয় সূত্র জানান, কৃষকরা ফসল রক্ষার্থে বন্যশুকর মারার জন্য বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতে। গত রোববার দিবাগত রাতে ওই ফাঁদে পড়ে প্রাণ হারায় বন্যহাতিটি। তবে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের ফাঁদ স্থাপনের জন্য সহযোগিতা করে আসছে একটি কুচক্রী মহল। তারা মাংসের জন্য শুকর ধরতে কৃষকদের সহযোগিতা দিচ্ছে। চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনজুরুল আলম জানান, খবর পেয়ে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে মারা যাওয়া হাতির খোঁজখবর নিয়েছে। মৃত হাতির আনুমানিক বয়স ৩০ বছর। গুলিবিদ্ধ ও তারে জড়িয়ে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হাতির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত হাতিটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. আসাদুজ্জামান জানান, গুলিবিদ্ধ ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হাতিটি মারা গেছে। ক্ষতস্থানে একটি গুলিও পাওয়া গেছে। এছাড়া হাতির শুঁড়ের ডান ও বাম পাশে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার চিহ্ন রয়েছে। লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই আবদুল হালিম জানান, বন্যহাতি মৃত্যুর ঘটনায় চুনতি রেঞ্জের আওতাধীন বড়হাতিয়া বনবিট কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য চুনতি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রেজওয়ানুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এদিকে বন্যহাতির মৃত্যুর খবর পেয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা আ. ন. ম ইয়াছিন নেওয়াজ ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সনের ২৫ নভেম্বর একই স্থানে শুকর মারার জন্য পাতা ফাঁদে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ২টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছিল। তারমধ্যে ১টি বাচ্চা ও অপরটি মা হাতি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাথমিকে একই রোল নিয়ে পরের ক্লাসে
পরবর্তী নিবন্ধচার মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কম রাজস্ব আদায়