করোনা রোগীদের মারাত্মক জটিলতা রোধ করতে পারে ফ্লুভক্সামিন নামে একটি ওষুধ। এছাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা ও পরিপূরক অক্সিজেন ব্যবহারের সম্ভাবনা কমিয়ে আনতে পারে। সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকরা এ কথা জানিয়েছেন। সম্প্রতি আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালের অনলাইনে এ সংক্রান্ত সমীক্ষাটি প্রকাশ করা হয়। করোনা আক্রান্ত ১৫২ জন রোগীর ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা এই তথ্য জানান। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা দুই সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ ফ্লুভক্সামিন গ্রহণ করেন। পরে রোগীরা তাদের লক্ষণ, অক্সিজেনের স্তর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ বিষয়ে তথ্য দেন। ১৫ দিন পর ওই ওষুধটি গ্রহণ করেছেন এমন ৮০ জন রোগীর মধ্যে কেউ গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়েননি। বাকি ৭২ জন রোগীকে প্লাসেবো দেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এদের ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তির করতে হয়।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলা এম রেয়ারসেন বলেন, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য ফ্লুভক্সামিন বিভিন্ন উপায়ে কাজ করতে পারে। তবে আমরা মনে করি, প্রদাহজনক অণুর উৎপাদন হ্রাস করার জন্য এটি সিগমা-১ রিসেপ্টারের সাথে কাজ করছে। তিনি বলেন, অতীত গবেষণা প্রমাণ করেছে ফ্লুভক্সামিন বিভিন্ন প্রাণীর শরীরে প্রদাহ কমাতে পারে। এটি আমাদের রোগীদের ক্ষেত্রেও হয়তো একই রকম কিছু করতে পারে।
মোবাইল ও ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বড় পরিসরে গবেষণা শুরু করবেন গবেষকরা। সাধারণত ফ্লুভক্সামিন মানসিক রোগ অবসেসিভ কমপালসিভ ডিজঅর্ডার (ওসিডি), সামাজিক উদ্বেগ এবং হতাশার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।