বাঁশখালীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একই মালিকের ২টি প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার সরল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাইরাং এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মাছ নষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রজেক্টের মালিক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সরল ইউনিয়নের পাইরাং এলাকার নজির আহমদের পুত্র মো. রাসেল উল্লাহ দীর্ঘদিন ধরে প্রজেক্টে মাছ চাষ করে আসছিলেন। এরই মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কতিপয় দুর্বৃত্ত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার ২টি প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দেয়। পরদিন শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন প্রজেক্টে মরা মাছ ভাসতে দেখে প্রজেক্ট মালিক মো. রাসেল উল্লাহকে ফোন করে খবর দেয়। তিনি এসে দেখেন ২টি প্রজেক্টের সব মাছ মরে গিয়ে পানিতে ভাসছে। প্রায় ২ বছর আগে চাষ শুরু করা কাতাল, রুই, পাঙ্গাস, নাইলোটিকা, ঘ্রাস কাপ, কার্পু ইত্যাদি মাছগুলোর একেকটি প্রায় ২-৩ কেজি ওজনের হবে। ২টি প্রজেক্টের ৩০-৩৫ মণ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের মূল্য প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হবে বলে দাবি করেন রাসেল। এ যেন মাছের সাথে শত্রুতা! ঘটনাস্থল থেকে ফোমিটক্স নামক ৩টি বিষের বোতল পাওয়া গেছে। ওই বিষ দিয়েই মাছগুলো মেরে ফেলেছে বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য প্রজেক্ট মালিক মো. রাসেল উল্লাহ বলেন, ‘স্থানীয় কতিপয় দুর্বৃত্ত পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার প্রজেক্ট ২টিতে বিষ ঢেলে দিয়ে সম্পূর্ণ মাছ মেরে ফেলেছে। ৩০-৩৫ মণ মাছ নষ্ট করে আমার প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে, কিন্তু মাছের সাথে কি শত্রুতা ছিল তাদের। এতগুলো মাছ কেন নষ্ট করল তারা। আমি প্রশাসনের নিকট এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, ‘পাইরাং এলাকায় প্রজেক্টে বিষ ঢেলে দিয়ে মাছ মেরে ফেলার ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ প্রজেক্টের মালিক মো. রাসেল উল্লাহ এ বিষয়ে থানায় মামলা করবেন বলে জানা গেছে।