করোনাকাল হলেও ধীরে ধীরে খেলাধুলার জট খুলতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে মাঠে গড়িয়েছে ফুটবল। একাধিক ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পন্ন হয়েছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থাও চেষ্টা করছে আস্তে আস্তে খেলাধুলা মাঠে নামাতে। এরই মধ্যে শেখ রাসেলের স্মৃতিতে শিশুদের নিয়ে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছে মহানগরী আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিভাগ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও জেলা গুলো নিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটার বাছাই কার্যক্রম। বলতে গেলে চট্টগ্রামের খেলাধুলা সরব হওয়ার পথে এগুচ্ছে ধীরে ধীরে। তবে আউটডোর গেমসগুলো এরই মধ্যে মাঠে গড়ালেও ইনডোর গেমসগুলো নিয়ে কোন রকমের সিদ্ধান্ত নিতে পারছেনা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কারণ গত দশ মাস ধরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়ামটি বন্ধ রয়েছে। এখনো তাদের নিয়ন্ত্রণে আসেনি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিজেকেএস জিমনেসিয়ামটি ছিল নির্বাচনের প্রধান কেন্দ্র। এই জিমনেসিয়ামে নির্বাচনের সব সরঞ্জাম সংরক্ষিত আছে। যেহেতু করোনার কারণে নির্বাচন হতে পারেনি তাই সেই বছরের শুরুতে নির্বাচন কমিশন যে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল জিমনেসিয়ামের সে নিয়ন্ত্রণ এখনো রয়েছে তাদের হাতেই। কারণ এখনো সেখানে রয়েছে নির্বাচনী সরঞ্জাম। ফলে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও ইনডোর গেমস গুলো শুরু করতে পারছেনা চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। যদিও ইনডোরে বেশ কিছু ইভেন্ট রয়েছে যেগুলো এই করোনাকালে নির্বিঘ্নে আয়োজন করা যায়। কিন্তু এখনো সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঠিক হয়নি। ফলে কবে নাগাদ জিমনেসিয়ামটি খেলার জন্য উন্মুক্ত হবে সেটা বলা যাচ্ছেনা।
চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী একাধিকবার বলেছেন জিনমেসিয়ামটি উন্মুক্ত না থাকায় তারা ইনডোরের কিছু ইভেন্ট আয়োজন করতে পারছেনা। তিনি বলেন, আমরা চিটি দিয়ে এবং ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে যোগাযোগ করে জানার চেষ্টা করেছি কবে নাগাদ জিমনেসিয়ামটি ফিরে পাওয়া যাবে। কিন্তু কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারাও বলতে পারছেন না নির্বাচনটা আসলে কবে নাগাদ হবে। তাই বলতে গেলে অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়ে গেছে জিমনেসিয়ামের বিষয়টি। তিনি বলেন, এক নির্বাচনেই জিমনেসিয়ামের জন্য বলতে গেলে বছর শেষ। তাহলে কোথায় যাব আমরা। কোথায় গিয়ে খেলাধুলা করব। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশ কিছু ইভেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছেনা জিমনেসিয়াম না পাওয়ার কারণে।
শুধু তাই নয় যারা নিয়মিত ইনডোরে অনুশীলন করতো তারাও পারছেনা সেখানে অনুশীলন করতে। ফলে এখনো অলস বসে থাকতে হচ্ছে বেশ কিছু ইভেন্টের ক্রীড়াবিদকে। করোনাকালের আগে ব্যাডমিন্টন, মেয়েদের ভলিবল, তায়কোয়ান্ডো, কারাতে, বাস্কেটবল, উশু বেশ কিছু ইভেন্টের নিয়মিত অনুশীলন হতো জিমনেসিয়ামে। কিন্তু এখন সে সব বন্ধ প্রায় দশ মাসের মতো। কবে আবার শুরু হবে তাও বলতে পারছেনা কেউই।
এরই মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যাডমিন্টন কমিটি মুজিববর্ষ উপলক্ষে একটি ব্যাডমিন্টন টুনামেন্ট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে জিমনেসিয়াম না পাওয়ায়। ব্যাডমিন্টন সম্পাদক দিদারুল আলম বলেন, আসলে আমরা চেয়েছিলাম করোনাকালে ব্যাডমিন্টনটাকে মাঠে নামাতে। কিন্তু পারছিনা জিমনেসিয়াম না থাকায়। তিনি বলেন, যেহেতু জিমনেসিয়ামের ভেতর যা রয়েছে তা রাষ্ট্রীয় সম্পদ সেহেতু আমাদের আসলে করারও কিছু নাই।