যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরই মধ্যে রেকর্ড ৯ কোটিরও বেশি আগাম ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউএস ইলেকশনস প্রজেক্ট। ভোটের নির্ধারিত দিনের আগেই শনিবার পর্যন্ত এ বিপুল সংখ্যক মানুষের রায়, দেশটিতে এক শতকেরও বেশি সময়ের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি ভোট পড়ার মঞ্চ প্রস্তুত করেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের দ্বৈরথ নিয়ে মার্কিন নাগরিকদের যে তুমুল আগ্রহ, এবারের আগাম ভোটের সংখ্যাই তার প্রমাণ বলে ধারণা গণমাধ্যমের। শনিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ আগাম ভোট পড়েছে, তা ২০১৬ সালের নির্বাচনে মোট ভোটের প্রায় ৬৫ শতাংশ। খবর বিডিনিউজের।
ভোটের দিন কেন্দ্রগুলোতে যে ভিড় হবে, তা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে এমন উদ্বেগ থেকেও এবার অসংখ্য মানুষ ডাকযোগে কিংবা আগাম ভোটের কেন্দ্রগুলোতে গিয়ে নিজেদের রায় জানিয়ে এসেছে।
জনমত জরিপগুলোতে ট্রাম্পকে বাইডেনের থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে থাকতে দেখা গেলেও দোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ব্যবধান কম হওয়ায় রিপাবলিকান প্রার্থীর সম্ভাবনা এখনও রয়ে গেছে, বলছেন পর্যবেক্ষকরা। দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২ লাখ ২৯ হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া কোভিড-১৯ মোকাবেলায় ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতাই এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের। বিপুল সংখ্যক আগাম ভোটও ডেমোক্র্যাটদের সুবিধা করে দিতে পারে বলে অনুমান অনেকের। দলটি এবার মহামারীর মধ্যে ডাকযোগে ভোটের ব্যাপারে শুরু থেকেই শক্ত অবস্থান নিয়েছিল।
অন্যদিকে ট্রাম্প ছিলেন ‘মেইল-ইন’ ভোটের ঘোর বিরোধী। এ ধরনের ভোটে জালিয়াতি হতে পারে বলে বেশ কয়েকবার নিজের আশঙ্কার কথাও জানিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন এ প্রেসিডেন্ট। যে কারণে ঐতিহাসকভাবে রিপাবলিকানরা ডাকযোগে ভোট বেশি পেলেও এবার তারা আগাম ভোটের সুযোগ খুব একটা নেয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।