পুঁজি বিনিয়োগ করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা কোনোভাবেই সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের সংকট সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে গণমাধ্যমে অবশ্যই যে কেউ পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারে। পুঁজি বিনিয়োগ করে যেকোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠা করতে পারে, সেটা কোনো অপরাধ নয়। কিন্তু পুঁজি যখন সেই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইবে সেটি কোনোভাবেই সমীচীন নয়। এ ক্ষেত্রে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ খবর বিডিনিউজের।
যে সকল পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না তাদের কারণে গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশ কতটুকু সহায়ক তা নিয়েও প্রশ্ন আছে বলে জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে দেখা যায় অনেক দৈনিক পত্রিকা নিয়মিত বের হয় না। হঠাৎ হঠাৎ বের হয় বা যেদিন বিজ্ঞাপন পায় সেদিন বের হয়। এসব পত্রিকা যেগুলো হঠাৎ হঠাৎ বের হয় সেগুলো আসলে গণমাধ্যমের সুষ্ঠু বিকাশে কতটুকু সহায়ক সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমি মনে করি এগুলো নিয়ে একটা শৃক্সখলা প্রয়োজন। কলকাতার দিকে যদি তাকান সেখানে ১০-১৫টি পত্রিকা বের হয়। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি নীতিগত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি, যেগুলো নিয়মিত বের হয় না, পত্রিকার ডিক্লারেশন নেওয়ার সময় কিন্তু নিয়মিত প্রচারের কথা বলা থাকে, সেই অনুযায়ী সেই পত্রিকাগুলোর ডিক্লারেশন বাতিলযোগ্য।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে যে প্রচার সংখ্যা দেখানো হয় সেটা অনেকগুলো পত্রিকার ক্ষেত্রে সঠিক কিন্তু অনেকগুলোর ক্ষেত্রে বাস্তবতার সঙ্গে কোনো মিল নেই। এ ক্ষেত্রে একটি বাস্তবতার নিরিখে প্রচার সংখ্যা যাতে হয় সে নিয়েও আমরা কাজ করছি।’ ডিআরইউর রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির চেয়ারম্যান শাজাহান সরদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিএফইউজের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।