বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিজয়া দশমীর মহাননন্দে মেতেছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। মা দুর্গাকে বিদায় জানাতে এবারও লাখো ভক্তের কোলাহলে মুখর ছিল অনুষ্ঠানস্থল। তবে করোনা মহামারীর কারণে এবারের অনুষ্ঠান হয়েছে সংক্ষিপ্ত পরিসরে। গতকাল সোমবার সৈকতের লাবনী পয়েন্ট শারদীয় দুর্গাপূজার শেষ দিন বিজয়া দশমীতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ।
আয়োজকেরা জানান, এ বছর রামু এবং সদর উপজেলা মিলে অর্ধশতাধিক প্রতিমা সৈকতে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। এবছর শুধুমাত্র বির্সজন মন্ত্র পাঠ করেই প্রতিমা সাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও একই সময়ে চকরিয়ার মাতামুহুরী, টেকনাফের সাগর ও নাফনদী, উখিয়ার ইনানী সৈকত ও রেজুনদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।
বির্সজন অনুষ্ঠানকে ঘিরে গতকাল সোমবার বেলা দুইটা থেকে শোভাযাত্রাসহকারে প্রতিমা আসতে শুরু করে। প্রতিমায় ভরে যায় অনুষ্ঠানস্থল। সৈকতের বালুচরে রাখা দুর্গা প্রতিমা ঘিরে চলে ভক্তদের শেষ আরাধনা। শুধু তাই নয়, নাচে-গানে এক অন্য রকম আনন্দমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয় সৈকতে। অনুষ্ঠানকে ঘিরে সমাগম ঘটে পর্যটকসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা লাখো মানুষের। জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা জানান, এ বছর জেলায় ২৯৯টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৫টি ঘট পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, ২৬ দফা নির্দেশনা মেনে এবার দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রণজিৎ দাশ জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এ অনুষ্ঠান দেশের সবচেয়ে বড় প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান। আওহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছরও এখানে দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ লাখো মানুষের সমাগম হয়েছে।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, জেলার আট উপজেলার ২৯৯টি পূজা মণ্ডপে তিন স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়।