চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ বলেছেন, করোনাকালে শরীরকে সম্পূর্ণ রোগমুক্ত রাখতে হলে বিশুদ্ধ পানি ও সাবান দিয়ে ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। ঘরের শিশু থেকে শুরু করে পরিবারের সকলকে ঘনঘন হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে এবং এ ব্যাপারে অন্যকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে। সুস্থ জাতি গঠনে উন্নত স্যানিটেশনের কোন বিকল্প নেই। খোলা পায়খনা সকল রোগের উৎস। যত্রতত্র পায়খানা-প্রশ্রাব করা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি পায়খানা ব্যবহার করতে হবে। এলাকার পাবলিক টয়লেটগুলো সবসময় স্বাস্থ্য উপযোগী করে রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করলে শতভাগ স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় পর্যায়ের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘উন্নত স্যানিটেশন নিশ্চিত করি, করোনাভাইরাসমুক্ত জীবন গড়ি, সকলের হাত, সুরক্ষিত থাক’।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জহির উদ্দিন দেওয়ানের সভাপতিত্বে ও অধিদপ্তরের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অফিসার প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাব্বির ইকবাল ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ.জেড.এম শরীফ হোসেন। স্বাগত বক্তব্যসহ মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও হাত ধোয়া বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী প্রকৗশলী সুমন রায়। আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় পরিচালক বোরহান উদ্দিন মো. আবু হাসান, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার হৃষিকেশ শীল, ইউএনডিপি’র টাউন ম্যানেজার সরোয়ার হোসেন খান, আরফাতুল জান্নাত, ফারহানা ইদ্রিছ, সরওয়ার হোসেন, মং ওয়াইসি ও সুব্রত দে প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।