যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আগামী ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে হেরে গেলে তাকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হতে পারে। জর্জিয়ার ম্যাকোন শহরে এক নির্বাচনী সমাবেশে গত শুক্রবার ট্রাম্প বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি হেরে গেলে কি হবে আপনারা কল্পনা করতে পারেন? হেরে গেলে আমার ভাল লাগবে না। আমাকে হয়ত দেশ ছেড়েই চলে যেতে হবে। আমি জানি না।
দুই ঘন্টার এই বক্তৃতায় ট্রাম্প মাঝে মাঝে করোনাভাইরাস, বাণিজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে কথা বললেও তার বক্তব্যের বেশিরভাগ জুড়েই ছিল ব্যক্তিগত অভিযোগ। এর মধ্যে ট্রাম্প তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ায় বিরোধীদের খুশী হওয়ার মতো বিষয় নিয়ে অভিযোগ করা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে লেগে থাকা গণমাধ্যম, প্রযুক্তি কোম্পানি এবং অত্যাবশ্যকীয়ভাবেই ডেমোক্র্যাটিক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী জো বাইডেন ও তার পরিবারকে নিয়ে বলতে ছাড়েননি। খবর বিডিনিউজের।
বাইডেনের প্রচারাভিযানে সামজিক দূরত্ব এবং মাস্ক পরার বিধি নিয়েও ট্রাম্প আবারও ঠাট্টা করেছেন। আর এসব নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এক পর্যায়ে ট্রাম্প বলেন, আমার হাসি-ঠাট্টা করা উচিত না। কেন জানেন? প্রেসিডেন্টের রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌড়ে থেকে আমার ওপর চাপ যাচ্ছে।
‘আমি নির্বাচনে হারলে কী হবে আপনারা ভাবতে পারেন? সারা জীবন আমি কী করব? রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ প্রার্থীর কাছে হেরে যাওয়াটা আমি কীভাবে বয়ে বেড়াব? এ নিয়ে ভাল বোধ করব না। জানি না, হয়ত আমাকে দেশই ছেড়ে যেতে হবে।’
এর আগে গত মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনার এক সমাবেশে বলেছিলেন, বাইডেনের কাছে হেরে গেলে কী করবেন, তা তিনি জানেন না। হয়ত আর কারও সঙ্গে কোনদিন কথা বলবেন না।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জরিপের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে তহবিলের দিক থেকেও জো বাইডেনের চেয়ে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। গত মাসে জো বাইডেনের নির্বাচনী তহবিল রেকর্ড ৩৮ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার হলেও ট্রাম্প সংগ্রহ করতে পেরেছেন মাত্র ২৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। তবে ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আরও তহবিল সংগ্রহ করে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তহবিল সংগ্রাহক হতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করতে চান না।