ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ওই দুই আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচনে কোথাও কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হয়নি। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ নেই। গতকাল শনিবার এ দুটি আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগমুহূর্তে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কেএম হুদা বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সারাদেশে ভোট হয়। এই খণ্ড নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ কম থাকে। এ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার জন্য সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নেই। দুই বছর/আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন সেই জন্য হয়তো প্রার্থী বা ভোটারদের মধ্য তেমন আগ্রহ নেই। পাশাপাশি করোনার একটি বিষয় তো রয়েছে। এজন্য মানুষ আতঙ্কিত। মানুষ যেতে চায় না এ রকম একটা অবস্থা তো আছেই। এর মধ্যেও নির্বাচনের ট্রেন্ড ভালো।
করোনাকালে ভোটে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনার জন্য আমরা সার্বিক সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়েছি। মাস্ক পরে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নির্দেশনা আছে। এজন্য অতিরিক্ত মাস্ক সরবরাহ করা হয়েছে। হ্যান্ডওয়াশের ব্যবস্থা রয়েছে। স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইভিএমের ফিঙ্গার প্রিন্টের জায়গাটি বারবার জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
হাতের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি তারপরও ব্যালটের পরিবর্তে কেন ইভিএম জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগেই আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে ইভিএম ব্যবহারের। আমরা ব্যালটের পরিবর্তে ইভিএমে ভোটগ্রহণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাছাড়া ভোটারদের মধ্যেও ইভিএম নিয়ে অনাগ্রহ এখন আর নেই। ইভিএমে তাদের অনীহা নেই। আগ্রহ আছে।
ঢাকা-৫ আসনে ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে, আইডি কার্ড কেড়ে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আইডি কার্ড নেয়ার কোনও রিপোর্ট আমাদের কাছে নেই। বাইরে কোনও সহিংস ঘটনা ঘটেছে এমন তথ্যও নেই। একটি জায়গায় কেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পেয়েছিলাম। তবে সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।