দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (সাময়িক বরখাস্ত) প্রদীপ কুমার দাশের পক্ষে তার আইনজীবীরা পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার যে আবেদন করেছিলেন তা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আবেদন খারিজ করে দেন। এ সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ কুমার দাশ।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু বলেন, দুদকের মামলায় নিয়মিত ধার্য তারিখ ছিল মঙ্গলবার। কারাগার থেকে প্রদীপ কুমার দাশকে আদালতে আনা হয়। আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত শুনানিতে অংশ নেন।
তারা প্রদীপ কুমার দাশকে তার পরিবারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার অনুমতি দিতে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে আমরা বিরোধিতা করি। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামি পক্ষের আবেদন খারিজ করে দেন।-বাংলানিউজ
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন।
তারও আগে ১৪ সেপ্টেম্বর মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত দুদকের মামলায় প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দেন।
গত ২৩ আগস্ট প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দীন। এ মামলায় ২৭ আগস্ট মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে প্রদীপ কুমার দাশকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৮ সালে প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকী কারণের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে দুদক।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের দুইজনকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। ১২ মে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এ তারা পৃথক সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন।