করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এ কর্মসূচি হওয়ার কথা ছিল। সেখানে আগামী ৪ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে শিশুদের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো। খবর বিডিনিউজের।
বৃহস্পতিবার জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে বাস্তবায়ন করতে তা এক সপ্তাহের জন্য পেছানো হয়েছে।
“অ্যাডভোকেসি সভা, স্বেচ্ছাসেবী প্রশিক্ষণ, সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন, প্রচার-প্রচারণা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো এবং ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করতেই আগের ঘোষিত তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে।”
জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মো. মোশাররফ হোসেন দেওয়ান বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই সেবা ও কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এই কারণে প্রস্তুতি নিতে কিছুটা দেরি হয়েছে।
“এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মসূচি চালাতে চাইছি আমরা। যারা এই কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন তাদের মাস্ক, গ্লাভসসহ অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম লাগবে। এগুলো পেতে আমাদের কিছুটা সময় লেগেছে। এসব সামগ্রী সারা দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে পাঠাতেও সময় দরকার। এ কারণেই সময়টা পিছিয়ে দিয়েছি।”
জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এ বছর ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী ২৭ লাখ এবং ১ বছর থেকে ৫ বছর বয়সী ১ কোটি ৯৩ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়মিত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা এবং কোনো স্বাস্থ্যকর্মী বা স্বেচ্ছাসেবক জ্বর বা সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে তার পরিবর্তে অন্যকে দায়িত্ব দিতে হবে।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন ইপিআই কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।