৭ তলা ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ভবন জুলাইয়েই শুরু হচ্ছে নির্মাণকাজ

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২৩ জুন, ২০২২ at ৬:২৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নতুন ৭ তলা বিশিষ্ট ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ভবনের নির্মাণ কাজ আগামী (জুলাই) মাসেই শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পটির কার্যাদেশও দেয়া হয়েছে।

কার্যাদেশ প্রদান সম্পন্ন হওয়ায় এখন কেবল নির্মাণ কাজ শুরুর অপেক্ষা। আর নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষে আগামী সোমবার (২৭ জুন) সকালে জাইকার প্রতিনিধি দল প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শনে আসছেন। এসময় প্রকল্প পরিচালক ছাড়াও স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ও কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান আজাদীকে বলেন, প্রকল্পটির এরইমধ্যে দরপত্র ও কার্যাদেশ প্রদান প্রক্রিয়া শেষ। এখন যে কোনো সময় নির্মাণ কাজ শুরু হতে পারে। জাইকার প্রতিনিধি দল সাথে নিয়ে প্রকল্পটির পরিচালক ২৭ জুন চট্টগ্রামে আসবেন। এসময় সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরের প্রতিনিধিরাও থাকবেন। মূলত নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যেই তারা প্রকল্পের স্থান পরিদর্শনে আসছেন বলে চিঠির মাধ্যমে আমাদের জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ‘শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে দেশের ৮টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়াগনস্টিক ইমেজিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭ তলা এ ভবন নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামসহ ৭টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকা। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশের ৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪০১ কোটি টাকা ব্যয়ে জাইকা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তবে এ প্রকল্পে পরবর্তীতে যুক্ত হওয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ ভবন নির্মাণ হচ্ছে সরকারের অর্থায়নে। হাসপাতালটিতে (ময়মনসিং মেডিকেল কলেজ) এ ভবন নির্মাণ কাজ এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

চমেক হাসপাতালে ভবনটি নির্মাণে দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গত ২৫ মে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রকল্পটির পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ। তিনি বলেন, বলতে গেলে এখন সব প্রক্রিয়াই মোটামুটি শেষ। এখন শুধু প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরুর অপেক্ষা। ২৭ জুন দাতা সংস্থা জাইকাসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে জায়গাটি পরিদর্শনে যাব। কার্যাদেশ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও জায়গাসহ সার্বিক দিক বুঝে নেবে। এরপরই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হবে। কোরবানির ঈদের আগে বা পরে (জুলাই মাসেই) নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলেও জানান প্রকল্প পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ। এর আগে স্থাপত্য অধিদপ্তর কর্তৃক ভবনের নকশা অনুমোদন এবং প্রকল্পটির ডিপিপি একনেকে অনুমোদন হয় বলেও জানিয়েছিলেন প্রকল্প পরিচালক।

প্রকল্প সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৭টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এ প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০১ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রকল্প ব্যয় দাঁড়ায় প্রায় ৬০ কোটি টাকা (৫৭ কোটি টাকার বেশি)। নতুন এ ভবনটি নির্মাণের জন্য চমেক হাসপাতালের পিছনের অংশে স্থান নির্ধারণ করা আছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নতুন ভবনটি নির্মাণ হলে সেখানে রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং এর আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম যুক্ত করা হবে। এর মাঝে সিটি স্ক্যান, এমআরআই, আলট্রাসনোগ্রাম ও এঙ-রে অন্যতম। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে হাসপাতালের গরীব রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুবিধা আরো বাড়বে বলে মনে করেন চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনতুন পোশাকে মাঠে নামবে মাদক নিয়ন্ত্রণের বাহিনী
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই জনের মৃত্যু