২৬ মাস বন্ধ ডেমু ট্রেন শাটলে নেই পর্যাপ্ত বগি

চবি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৩১ মে, ২০২২ at ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ

 

 

২০২০ সালের মার্চে করোনায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) বন্ধ হয়ে গেলে শাটল ও ডেমু ট্রেনও চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গত বছরের ১৬ অক্টোবর সীমিত পরিসরে শাটল ট্রেন চালু হয়। তবে এখনো চালু হয়নি ডেমু ট্রেন। অথচ এরমধ্যে আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া হয়। শুরু হয় সশরীরে ক্লাস।

চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে চবি ক্যাম্পাস অবস্থিত। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম শাটল ও ডেমু ট্রেন। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দিনগুলোতে ৭ জোড়া শাটল ও ২ জোড়া ডেমু ট্রেন চলাচল করে চবি রুটে। কিন্তু দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে দুই জোড়া ডেমু ট্রেন। আবার শাটলে বগি বাড়ানোর আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ডেমু ট্রেন বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ভিড় ঠেলে শাটলে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

জানা যায়, সকাল সাড়ে আটটা ও দুপুর আড়াইটায় নগরীর বটতলী থেকে ছেড়ে আসে ডেমু ট্রেন। আবার সকাল দশটায় ও বিকাল তিনটায় ক্যাম্পাস ছেড়ে যায় ডেমু জোড়া। সরেজমিনে দেখা যায়, আসনের অভাবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীই শাটলে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করছেন। বগিগুলোর ভেতরে ভিড়ের পরিমাণ এতোই বেশি যে নড়াচড়া করার জায়গাটুকোও পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। সকালে শহর থেকে আসা ট্রেন ও দুপুরে শহরে যাওয়া ট্রেনে সবচেয়ে বেশি ভিড় থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রতিদিন দাঁড়িয়ে যেতে হয়। প্রতিটি বগিতে যে পরিমাণ আসন আছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি শিক্ষার্থী উঠে শাটলে। ডেমু বন্ধ থাকাতে শাটল ট্রেনে অনেক বেশি ভিড় হয়। এভাবে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে যেতে নিজেদেরকে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে মনে হয় না।

ক্লাস করতে আসা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়তে হয় ক্যাম্পাসের হল, কটেজ ও মেসে বসবাস করা শিক্ষার্থীদেরও। শহরে গিয়ে টিউশন করাতে তাদের অনেক সময় নষ্ট হয়।

এ বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, শাটলের ভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরাও চাই না আমাদের সন্তানরা কষ্ট করুক। বিষয়টি সমাধান করতে আমরা রেলমন্ত্রী মহোদয় ও পূর্বাঞ্চলীয় রেল কর্তৃপক্ষের সাথে বারবার আলাপ করে যাচ্ছি। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ সুষ্ঠু কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি এখনো।

রেলওয়ের চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, লোকো মাস্টার সংকটের কারণে আমরা ট্রেনের শিডিউল স্বাভাবিক করতে পারছি না। আমাদেরকে সময় দিতে হবে। তিনি বলেন, করোনার মধ্যে আমাদের অনেক গার্ড অবসরে চলে গেছেন। এই সংকট কাটিয়ে উঠতে আমরা অবসরপ্রাপ্তদের আবার দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে রাজি হলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্ত্রীকে হত্যা করে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন
পরবর্তী নিবন্ধপাহাড়ে ঝিরির গর্তে কিশোরের হাত-পা বাঁধা মরদেহ