গরমে বিদ্যালয়ে অসুস্থ তিন শিক্ষার্থী

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৯:১৩ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তীব্র গরমে সৈয়দপুর এলাকার একটি বিদ্যালয় তিন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো, মরিয়ম আক্তার নিপা, ৮ম শ্রেণির মাইসা আক্তার ও দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুঁই দাশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস মোস্তফা আলম সরকার।

সূত্রে জানা গেছে, এমন তীব্র গরমের মধ্যে উপজেলার অন্যান্য বিদ্যালয়ের মতো সৈয়দপুর ইউনিয়নের শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুহয় সকাল ১০টায়। এদিন ৬২৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৩৩ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়।

তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে অনেক শিক্ষার্থী তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যালয় থেকে আস্তে আস্তে চলে যেতে থাকে। প্রচন্ড গরমের কারণে শিক্ষকরাও কাউকে বাধা দেননি তখন। কিন্তু যারা ক্লাসে ছিল তারা গরমে ক্রমশ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে।

এরপর ১ম ঘন্টা চলাকালে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার নিপা, দ্বিতীয় ঘন্টায় অসুস্থ হয়ে পড়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জুঁই দাশ এবং একই সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাইসা আক্তারসহ তিনজন শিক্ষার্থী।

বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, তীব্র গরমের মধ্যেও ক্লাস চলছে। আর অসুস্থ না হয়ে উপায় কি?। অনেক শিক্ষার্থী কাউকে কিছু না বলেই গরমে অতিষ্ঠ হয়ে বাড়ি চলে গেছে। এর মধ্যে যারা ক্লাসে ছিলো তাদের মধ্যে তিনজন বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তিনি আরো বলেন, এমন গরমের মধ্যে বিদ্যালয়ে মর্ণিং ক্লাস শুরু করা প্রয়োজন। তা না হলে এ ধরণের ঘটনা আরো অনেক ঘটতে পাড়ে বলে আমার মনে হচ্ছে।

এ বিষয়ে শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর সাংবাদিকদের বলেন, রবিবার শেখেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে এক তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। তবে তাদের মধ্যে অনেকেই বাড়ি চলে যায় এবং ক্লাস চলাকালীন সময়ে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে।

এরপর তাদের অভিভাবককে খবর দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিই আমি।

এদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তফা আলম সরকার বলেন, আজ তীব্র গরমের কারণে উপজেলার বেশিরভাগ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর উপস্থিত ছিলো অনেক কম।

নতুন কারিকুলামে পাঠদান অনেকটা কঠিন। তাই বিদ্যালয় খোলা রাখা না গেলে শিক্ষার্থীদের অনেক ক্ষতি হবে।

ক্লাসের সময়সীমা কিছুটা এগিয়ে আনা হলে হয়ত শিক্ষার্থীরা এতটা অস্বস্তিতে থাকবে না ।সকালে কিছুটা থান্ডা থাকে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজেলা প্রশাসকের আশ্বাসে চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
পরবর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ : থানায় জিডি