২৪ ঘণ্টায় দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দুই কিশোরীর

সীতাকুণ্ড মহাসড়ক

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সীতাকুণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় সড়কে প্রাণ গেল দুই কিশোরীর। বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের বাইপাস এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় প্রিয়া রানী ঋষি (১৫) এবং বৃহস্পতিবার পৌনে ৯টার দিকে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মোস্তফা সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় আফরিন (১৬) নামের দুই কিশোরী নিহত হয়েছে।

প্রিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ভোলাচং গ্রামে। মা-বাবার সঙ্গে প্রিয়া সীতাকুণ্ড রেলস্টেশন এলাকায় মফিজের বাসায় ভাড়া থাকত। অন্যদিকে নিহত আফরিন উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের সুলতানা মন্দির এলাকার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের মেয়ে। এ ঘটনায় সিএনজি যাত্রী আফরিনের বড় বোন আইরিন (২০), মা খালেদা আক্তার (৩৮), চাচি নিগার সুলতানা (৩৫), চাচাতো বোন আবেদা সুলতানা (১৬) ও একই এলাকার অটোরিকশাচালক সাগর দাস (২৩) আহত হয়েছেন।

বারআউলিয়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রিয়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের জুতা তৈরির কারখানায় বাবার সঙ্গে শ্রমিকের কাজ করত। বুধবার রাতে কাজ শেষে বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পৌর সদরের বাইপাস এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকামুখী একটি ট্রাক প্রিয়াকে চাপা দেয়। বাবার চোখের সামনে মারা যায় সে। ট্রাকটি দ্রুতগতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া করে ট্রাকটি জব্দ করে।

অপরদিকে মহাসড়কের সীতাকুণ্ড পৌর সদরের মোস্তফা সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় অটোরিকশাটি চলন্ত অবস্থায় সামনের চাকা খুলে একদিকে চলে যায়। ফলে হঠাৎ করে অটোরিকশাটি সড়কের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পড়ে। এসময় পেছনে থাকা চলন্ত কাভার্ড ভ্যানটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি চালক। ফলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা যাত্রী একই পরিবারের সবাই গুরুতর আহত হয়। আফরিনকে চমেক হাসপাতালে পাঠালে সেখানে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যায়। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তারাও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশের সদস্যরা ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির কর্মসূচি প্রমাণ করে তারা দেশে অস্থিরতা চায় : তথ্যমন্ত্রী