২৩ মাস পর ওয়ানডে সেঞ্চুরি মুশফিকের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ২৬ মে, ২০২১ at ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

২০১৯ সালের ২০ জুন। ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামে দারুন এক সেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। বিশ্বকাপের সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেছিলেন ১০২ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। যদিও সে ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ৩৮২ রানের পেছনে ছুটতে গিয়ে ৩৩৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ম্যাচ জেতা হয়নি টাইগারদের। সেই থেকে গত ২৩ মাসে মুশফিক খেলে ফেলেছেন ১৫টি ম্যাচ। কিন্তু সেঞ্চুরির দেখা মেলেনি। অবশ্য বিশ্বকাপের পরপরই শ্রীলংকা সফরে পেতে পারতো আরো একটি সেঞ্চুরি। কিন্তু তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৯৮ রানে অপরাজিত থেকে অতৃপ্তি নিয়ে ফিরতে হয়েছিল সেদিন। এরপর কেটে গেছে আরো ১০ ম্যাচ। কিন্তু মেলেনি সেঞ্চুরির দেখা। অবশেষে কাটল সে সেঞ্চুরির খরা। তাও দলের কঠিন এক সময়ে। শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ যখন চরম বিপদে তখনই বুক চিতিয়ে লড়তে থাকেন মুশফিক। তুলের নেন সেঞ্চুরি। সে সাথে দলকে পৌছে দেন লড়াকু সংগ্রহের দিকে।
যদিও গতকালও বারবার অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিল মুশফিকের সেঞ্চুরি। একাধিকবার বৃষ্টির হানায় বঞ্চিত হতে যাচ্ছিলেন মুশফিক। তবে শেষ পর্যন্ত জয় হলো মুশফিকেরই। লংকান বোলিং আর বৈরী আবহাওয়াকে মোকাবেলা করে তুলে নিলেন দারুন এক সেঞ্চুরি। খেললেন ১২৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যা তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অবশ্য সর্বোচ্চ ইনিংসটিও এই শ্রীলংকার বিপক্ষে সেটা ১৪৪ রানের। ২০১৮ সালে দুই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ম্যাচে এই ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। গতকালের দারুন এই সেঞ্চুরির ফলে মুশফিকের সেঞ্চুরি গিয়ে দাঁড়ালো ৮টিতে। গতকাল ১১৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ক্যারিয়ারে অষ্টম সেঞ্চৃুরি তুলে নেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের এই ব্যাটিং ম্যাজিক থেমেছে ১২৫ রানে গিয়ে। ১২৭ বলের এই ইনিংসে চারের মার ছিল ১০টি। দারুন ধৈর্য্যশীল ব্যাটিং করেছেন মুশফিক। বৃষ্টির কারণে দুই দফায় খেলা বন্ধ হয়েছিল। প্রথমবার ২৫ মিনিট ও পরেরবার খেলা বন্ধ থাকে ৩৫ মিনিট। প্রকৃতির বাগড়া জয় করে ইনিংসের ৪৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়েই তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান মুশফিক।
অবশ্য প্রথম ম্যাচেই তুলে নিতে পারতেন ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরিটি।
কিন্তু সে ম্যাচে নিজেই হারিয়েছিলেন সে সুযোগ। সেদিন ফিরেছিলেন ৮৪ রান করে। তবে গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে আর ভুল করেননি মুশফিকুর রহীম। দলের ঘোর বিপদের সময় অসাধারণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের অষ্টম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তিনি।
গতকালের সেঞ্চুরির ফলে মুশফিকের রান দাঁড়িয়েছে ৬৫৫৩। যেখানে ৮টি সেঞ্চুরির পাশপাশি রয়েছে ৪০টি হাফ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করার দিক থেকে মুশফিকের চাইতে এগিয়ে আছেন তামিম এবং সাকিব। ২১৫ ম্যাচে তামিমের সেঞ্চুরি ১৩টি। আর ২১১ ম্যাচে সাকিবের সেঞ্চুরি ৯টি। মুশফিক ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন ২২৬ ম্যাচে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রবাহ
পরবর্তী নিবন্ধদুস্থদের মাঝে মোস্তফা-হাকিম ফাউন্ডেশনের কাপড় বিতরণ