১৩ আসামির মৃত্যুদণ্ড

আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে হত্যা ১৯ জনকে যাবজ্জীবন

| শুক্রবার , ৩ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার আমিনবাজারে দশ বছর আগে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলার ১৩ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান গতকাল বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অভিযুক্ত ৬০ আসামির মধ্যে কবির হোসেন, রাশেদ ও সাব্বির আহমেদ এ তিনজন বিচার চলাকালেই মারা যান। বাকি ৫৭ আসামির মধ্যে ১৩ জনকে সর্বোচ্চ সাজার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পাশাপাশি তাদের সবাইকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অন্য একটি ধারায় এই ১৩ জনকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিদের মধ্যে ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অন্য একটি ধারায় তাদের ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। অভিযোগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাকি ২৫ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। খবর বিডিনিউজের।
২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলার চরে বেড়াতে যান সাত তরুণ। তারা সবাই ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তেন। স্থানীয় কিছু লোক তাদের ধরে ডাকাত আখ্যা দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এতে ছয়জন মারা গেলেও একজন প্রাণে বেঁচে যান। পরে তার কাছ থেকে সেই রাতের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। ওই ঘটনা পুরো দেশকে স্তম্ভিত করে দেয়। পুলিশের অভিযোগপত্র পেয়ে ২০১৩ সালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ৬০ আসামির বিচার শুরু করে আদালত। আমিনবাজারের ঘটনায় নিহত বাঙলা কলেজের ছাত্র কামরুজ্জামানের বাবা আব্দুল কাদের সুরুজ, নিহত ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশের বাবা মজিবর রহমান এবং ইব্রাহিম খলিলের বাবা আবু তাহের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুল মতিন, আনন্দ চন্দ্র বিশ্বাস, শাকিলা জিয়াসমিন মিতু ও ফারুক আহম্মদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল রাখায় পর্যবেক্ষককে অব্যাহতি
পরবর্তী নিবন্ধবোনকে বাঁচাতে মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে ছুরিকাহত দুই ভাই