হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্র করতে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা

নগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২২ at ৬:২২ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় পলোগ্রাউন্ড মাঠে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে নগরীর প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা-প্রতিটি অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় ব্যাপক হারে প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সভায় প্রত্যেক নেতাকর্মীকে নিজ নিজ এলাকায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে সফল করতে প্রচার-প্রচারণার অংশ হিসেবে মিছিল-মিটিং ও সভা শুরু করতে বলা হয়েছে। একই সাথে দলের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহানগরীর ৬টি সংসদীয় আসন উপহার দেয়ারও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবস্থ বঙ্গবন্ধু হলে অনুষ্ঠিত মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এই সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির ছায়া। তারা পেছন দরজা দিয়ে ক্ষমতায় দখল করে এদেশকে পাকিস্তান বানাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ার এবং সাবধান। তিনি এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডের ঐতিহাসিক জনসভা প্রমাণ করবে এই চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তিনি বলেন, যুগে যুগে চট্টগ্রাম বিপ্লব ও পরিবর্তনের বার্তা শুনিয়েছেন। মাস্টার দা সূর্যসেন, কাজেম আলী মাস্টার, মনিরুজ্জামান ইসলামাবদী, এম. এ. আজিজ, জহুর আহমেদ চৌধুরী, এম.এ হান্নান, এম. এ. মান্নান, আখতারুজ্জামান বাবু ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এই বীর চট্টলা থেকে জাতিকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। তাই, আগামী ৪ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম আসবেন এবং জাতিকে সুবার্তা দেবেন। এ আগমনকে উপলক্ষ করে মহানগরের প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে ব্যাপক হারে প্রতিটি অলি-গলি, পাড়া-মহল্লায় জনসভার ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে জনসভাকে স্মরণকালের জনসমুদ্রে পরিণত করতে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হল। তিনি আরো বলেন, আমাদের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করে এই চট্টগ্রাম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬টি সংসদীয় আসন উপহার দিতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের মত ও বিভেদ পরিহার করে আবার একাত্তরের মতোই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিএনপি যতই টালবাহানা করুক না কেন, তাদেরকে নির্বাচনে আসতে হবে। না এলে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফর ঘিরে চট্টগ্রামে চারিদিকে আনন্দের বন্যা বইছে। ৪ ডিসেম্বরের জনসভাকে সার্বিকভাবে সফল করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশে আগামী ৯ নভেম্বর সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে (আইসিসি) চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে প্রতিটি থানা, ওয়ার্ড, ইউনিট, ইউনিয়ন এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়ক দলীয় কাউন্সিলর, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সহ সকল উপজেলার চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র, স্থানীয় সাংসদ, মাননীয় মন্ত্রী ও মেয়রসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে বিশেষ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন। সেই প্রতিনিধি সভায় তালিকাভুক্ত কার্ডধারী নেতৃবৃন্দ যথাসময়ে হলে প্রবেশ করতে পারবেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. সুনীল কুমার সরকার, খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আবদুচ ছালাম, শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, হাসান মাহমুদ শমশের, এড. শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, মোহাম্মদ হোসেন, মাহাবুবুল হক মিয়া, ইঞ্জিনিয়ার মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, জোবায়েরা নার্গিস খান, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, গাজী শফিউল আজিম, নুরুল আবছার মিয়া, কামরুল হাসান বুলু, পেয়ার মোহাম্মদ, জাফর আলম চৌধুরী, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, বেলাল আহমেদ সহ ১৫টি থানা, ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক, যুগ্ম আহ্বায়কগণ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআকর্ষণ লাল কাঁকড়ায়
পরবর্তী নিবন্ধপার্বত্য জেলা পরিষদ ও প্রশাসন দ্বন্দ্বে অকার্যকর বাজারফান্ড