হালদা চলচ্চিত্র

যেভাবে তৈরি হলো

আজাদ বুলবুল | শনিবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ at ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ


হালদা সিনেমার চিত্রনাট্য লেখার কাহিনি একটু মজাদারই বটে। আমার বড়ভাই এইচ এম ইব্রাহিম বহুকাল থেকে টিভি নাটক প্রযোজনা করে আসছেন। বিটিভিতে ‘প্যাকেজ প্রোগ্রামের’ আওতায় নির্মিত প্রথম নাটকটিও (১৯৯২) তাঁরই। এরপর অনিয়মিতভাবে টিভি নাটক প্রযোজনা করেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পরও নাটক তৈরির নেশা তিনি ছাড়েননি। ২০১৫ সালে আমাদের এক আড্ডায় তিনি বলেছিলেন, সেলিম আল দীন মারা যাওয়ার পর ভালো গল্পের খরা চলছে। আমার দিকে তাকিয়ে কিছুটা ভর্ৎসনা মেশানো কণ্ঠে বললেন- তোমরা বাংলা সাহিত্যের মেধাবী ছাত্র, পণ্ডিত শিক্ষক। তোমরা লিখছ না কিছুই। সেই আড্ডায় বন্ধুরা কথা আদায় করে নিল, এক মাসের মধ্যেই প্রযোজক ইব্রাহিম ভাইকে দিতে হবে পাণ্ডুলিপি। আমি রাজি হয়ে গেলাম। কিন্তু কী লিখব, কোন বিষয়ে লিখব, সে সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারলাম না।

আমি তখন হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে শিক্ষকতা করি। এক শীতের সকালে দুই সহকর্মীকে নিয়ে সারাদিন কাটিয়ে এলাম হালদা পাড়ের গ্রাম উত্তর মাদ্রাসা ও আকবরিয়া পাড়ায়। ভাবলাম, হালদা নিয়ে লেখা যেতে পারে কি কোনো কিছু? হালদা নদীকে দুই পাড়ের লোকজন কোন চোখে দেখে সেটাই জানতে চেষ্টা করছিলাম।

কিন্তু হালদা তো এক বৈচিত্র্যময় নদীর নাম। উৎস, আকার, আয়তন, জলপ্রবাহের মেজাজ আর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হালদাকে বিচিত্র স্বভাবী হিসেবে বিশিষ্টতা দিয়েছে। খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি পাহাড় থেকে নেমে আসা অসংখ্য ঝরনাধারা থেকে এর উৎপত্তি। ফটিকছড়ি, নাজিরহাট, রাউজান, সাত্তার ঘাট, মদুনাঘাট হয়ে কালুরঘাটের আগে মোহরা পয়েন্টে এসে কর্ণফুলীতে মিশেছে। সেখান থেকে ১৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়েছে। হালদার দৈর্ঘ্য অন্যূন ৮৮ কিলোমিটার। এটি জোয়ার ভাটার নদী। রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ জাতীয় মাছের ডিম ছাড়ার কারণে এ-নদী বিশিষ্ট হয়ে উঠেছে।

তবে চট্টগ্রামের পরিচয় কর্ণফুলী নদী দিয়ে। চাটগাঁ বন্দর এ-নদীর মোহনায়। চাকমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, মারমাসহ অপরাপর আদিবাসী অধ্যুষিত পাহাড়ি জনপদ থেকে নেমে আসা কাঁইচা বা কর্ণফুলী নদীই চট্টগ্রামের লোক সংস্কৃতিতে জায়গা পেয়েছে। শেফালী ঘোষের গানে, সুচরিত চৌধুরীর গল্পে, আলাউদ্দিন আল আজাদের উপন্যাসে, আঞ্চলিক নাটক আমিনা সুন্দরীতে, আল মাহমুদের কবিতায় কর্ণফুলীর কথাই প্রবহমান। হালদা তো কর্ণফুলীর উপনদী! তার আবার গল্প কী?
একবার হালদা পাড়ে ঘুরতে ঘুরতে দেখা পাই, রামদাশ হাটের এক নানরুটির বুড়ো কারিগরের। রুটি বেলতে-বেলতে তিনি বলছিলেন, ‘আলদার মাছর ডইল্যা এডিয়ার মাইয়্যাপোয়াঅলর বিচন বালা।’ (হালদার মাছের মতোই এখানকার নারীদের গর্ভধারণ ক্ষমতাও উর্বর)। কথাটি শুনেই মগজে গেঁথে গেল প্লট।

হালদার মা মাছ আর হালদা পাড়ের নারীর মাতৃত্ব নিয়েই লেখা হোক না তবে। ৩-৪ দিন পর আবার চলে যাই হালদার জেলেপল্লিতে। সেখান থেকে জোগাড় করি নানান টুকরো ঘটনা। যেমন হালদায় মাছ ধরার কৌশল, জো আসার জন্য নানা রীতি সংস্কার পালন, রেনু ধরা, ডিম ফুটানোর প্রক্রিয়া, নদী দূষণের ফলাফল, মাছ কম আসার কারণ, হালদা পাড়ের তরুণীদের বিষয়ে দূরের লোকেদের ধারণা, সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ডাকাতের কবলে পড়া, বহরদার বা সর্দারের আচরণ, দাদন নেওয়া, ডিমওয়ালা মাছের প্রতি স্থানীয়দের দৃষ্টিভঙ্গি, মা মাছ মারার কারণে অভিশপ্ত হওয়া; এমন ছোট ছোট কথা-কাহিনি। পরে সেসব উপাদানের আলোকে নাটকের আদলে লিখে ফেলি হালদা সিনেমার কাহিনি। নাম দিই হালদার হাসি।

লেখার পর পাণ্ডুলিপি বেশ কয়েকজন সাহিত্য-অনুরাগী বন্ধুকে পড়ে শোনাই। তাদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা সংযোজন বিয়োজনের পর চূড়ান্ত হয় হালদা সিনেমার চিত্রনাট্য। ‘হালদা’ সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে প্রযোজক এইচ এম ইব্রাহিম অনেকের সঙ্গে কথা বলেন। বিষয়বস্তু জেনে সিনেমা ও নাটক পাড়ার বাঘা বাঘা পরিচালক আগ্রহের সঙ্গে এগিয়ে এলেন। তার মধ্যে আশির দশকের প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক দেওয়ান নজরুলের সহকারী হিসাবে কায়েস চৌধুরী পরিচালনার দায়িত্ব নিলেন আগ্রহভরে। প্রযোজকের আশা ছিল, চমৎকার ও ব্যতিক্রমী কাহিনির কারণে হালদা হয়তো সরকারি অনুদান পাবে। তাঁর আশাবাদের সঙ্গে সহমত পোষণ করে পরিচালক প্রযোজককে জানালেন, হালদার চিত্রনাট্য বদলে দিলে এবং কাহিনিতে সরকারি প্রোপাগান্ডা বিষয়াদি যুক্ত করলে অনায়াসে অনুদান পাওয়া যাবে।

২০১৫ সালে সরকারের বহুল আলোচিত উদ্যোগ ছিল ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র। কায়েস চৌধুরী মূল গল্প থেকে সরে গিয়ে হালদার নায়িকা হাসুকে প্রতিবাদী চরিত্রে রূপ দিয়ে ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের গুরুত্বকে তুলে ধরলেন। কাহিনিতে প্রাধান্য দিলেন সরকারি অন্যান্য উদ্যোগ ও কর্মসূচিকে। এরপর ২০১৫ সালের সরকারি অনুদানের জন্য জমা দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় প্রচারণাযুক্ত নতুন চিত্রনাট্য ‘হালদা’। সেবার বিচারক টিমের প্রধান ছিলেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। কিন্তু চিত্রনাট্যের নানা অসংগতির কারণে ‘হালদা’ সরকারি অনুদান লাভে ব্যর্থ হয়। অনুদান না পাওয়ায় কায়েস চৌধুরী ছবি পরিচালনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। প্রযোজক কি করবেন? এমনিতেই কমে গেছে সিনেমার দর্শক। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পুরোনো বনেদি সব সিনেমা হল। এই দুঃসময়ে অনুদানের অঙ্কটাই ছিল ভরসা। সেটা যখন পাওয়া গেল না, তখন প্রযোজকও হতাশ হয়ে পড়েন।

সেসময় ‘অজ্ঞাতনামা’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে তৌকির আহমদ তুমুল আলোচিত। ইব্রাহিমের নাটকে আগেও কাজ করছেন তৌকির। হালদার গল্প শুনে তিনি আগ্রহী হলেন সিনেমা তৈরিতে। প্রযোজক শর্ত দিলেন দুটি। সিনেমার চিত্রায়ণ হবে হালদা নদী ও এর আশপাশের লোকালয়ে, আর ভাষা হতে হবে চট্টগ্রামি। তৌকির দুটোর একটিতেও রাজি হচ্ছিলেন না। সুযোগ সুবিধাবিহীন চট্টগ্রামের প্রান্তিক এলাকা রাউজান হাটহাজারীতে সিনেমার বিশাল টিম নিয়ে কাজ করা কতটা শ্রমসাধ্য সেটা তৌকির ভালোই জানতেন। আমি তাঁকে বোঝালাম- পটভূমি ও ভাষাটা ঠিকঠাক না রাখলে ছবিটা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হবে না। তৌকির বলেন- চট্টগ্রামের দুর্বোধ্য ভাষায় সিনেমা বানালে দর্শক পাওয়া যাবে না। সিনেমায় আসল জিনিস কিছুই নেই। যে কোন নদীকে হালদা বলে চালিয়ে দিলেই হবে। আমরা আমাদের কথায় অনড় থাকলাম। তৌকির বাজেট বাড়ানোর শর্তে রাজি হলেন। তারপর শুরু হলো কাস্টিং।

আমাদের ইচ্ছে ছিল, চট্টগ্রামের নাট্যমঞ্চ থেকে নায়ক নায়িকাসহ অন্যান্য অভিনেতা নির্বাচন করা। তবে নতুনদের নিয়ে কাজ করতে পরিচালক কোনো মতেই রাজি নন। তারকা অভিনেতার বাইরে কাউকে পছন্দ নয় তার। নুশরাত ইমরোজ তিশা, মোশাররফ করিম, জাহিদ হাসান, রুনা খান, ফজলুর রহমান বাবু, সাজু খাদেম, দিলারা জামানকে মনোনীত করা হলো হালদার জন্য। চট্টগ্রামের মঞ্চ অভিনেতা সদ্যপ্রয়াত শাহীনুর ভাই, নাসির খানসহ একঝাঁক অভিনেতাও যুক্ত হলো হালদা টিমে। ২০১৬ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক নদী দিবসকে সামনে রেখে শুরু হলো হালদা সিনেমার শুটিং। হালদা টিমের ক্যাম্প করা হয়েছিল হাটহাজারী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ভেতরে। শীতের উজ্জ্বল সকাল। শুটিং হবে সাত্তারঘাট ব্রিজের ওপরে। সিকোয়েন্স হলো- হালদা নদী রক্ষা কমিটির মানববন্ধন। খবর পেয়ে ততক্ষণে এলাকার অসংখ্য নারী-পুরুষ চলে এসেছে সাত্তার ঘাটে। মোশাররফ করিম, ফজলুর রহমান বাবু, জাহিদ হাসান কস্টিউম পরে প্রস্তুত। তৌকির আছেন ক্যামেরার পেছনে। অনেকের সঙ্গে অধ্যাপক মনজুরুল কিবরিয়াও আছেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই শুরু হলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বালু শ্রমিকের পোশাক পরা একদল মারমুখী লোক ছুটে এল মানববন্ধনের দিকে। প্রথমে মনে হয়েছিল এটা বোধ হয় শুটিংয়েরই অংশ। চেলাকাঠ হাতে হাফপ্যান্ট পরা একদল যুবকের তাড়া খেয়ে মানববন্ধনকারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো। তৌকির, মোশাররফ, জাহিদ, বাবুুসবাই দক্ষ অভিনেতা। জনরোষ থেকে পালানো তাদের কাছে দুই আঙুলের খেল মাত্র! চোখের পলকেই অভিনেতারা জনতার ভিড়ে মিশে গেলেন। হামলাকারীরা তাদের খুঁজেই পেলেন না। কিন্তু কেন এই হামলা? শুটিং বন্ধ করার অপপ্রয়াস কার? শুরুতে কিছুই জানা গেল না। পরে জানা গেল এমপির বিরোধ হালদা টিমের সঙ্গে নয়। তৎকালীন মৎস্য কর্মকর্তা নাকি মনজুরুল কিবরিয়ার বিষয়ে কিছু কাল্পনিক তথ্য দিয়ে স্থানীয় এমপিকে ভুল বুঝিয়েছেন। ফলে এমপির অনুসারীরা হালদার শুটিং বন্ধ করে দিয়েছে।

হালদা সিনেমার প্রায় পুরোটা শুটিং হয়েছে আউটডোরে। বলিখেলার অংশে দিদার বলি ও মর্ম সিং মারমার স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি, নৌকা বাইচে হালদার মাঝিদের স্বেচ্ছায় অংশগ্রহণ, ব্যাঙের বিয়ে পর্বে স্থানীয় নৃত্যশিল্পীদের বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করার বিষয়টি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। মাইজভান্ডারি গানের পর্বটি শিমুল শীল তাঁর দলকে দিয়ে করানোর কথা থাকলেও টেকনিক্যাল কারণে তা সম্ভব হয়নি। ষাঁড়ের লড়াইয়ের একটি পর্বও শেষাবধি সংযুক্ত করা যায়নি। সাত্তারঘাট, রামদাসের হাট ও মদুনাঘাটের বহু অচেনা মানুষ শুটিং চলাকালে নানাভাবে সহায়তা করেছে। যদিও স্পটে অত্যুৎসাহীদের নিশ্চুপ রাখতে গলদঘর্ম হতে হয়েছে পরিচালককে তবে তাদের আবেগের মূল সুরটি ছিল অকৃত্রিম।

হালদা সিনেমার সম্পাদনা, আবহ আওয়াজ, সুর সংযোজন, ডাবিং, পরিস্ফুটনের কাজটি বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন ল্যাবে সম্পাদিত হয়। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হালদা চলচ্চিত্র মুক্তি পায়। পরিচালক তৌকির আহমদ ও প্রযোজক এইচ এম ইব্রাহিম অভি কথাচিত্রের সহযোগিতায় বাংলাদেশের ৩৪টি সিনেমা হলে ও বিশ্বের ১৪ টি দেশে একযোগে শুভমুক্তির ব্যবস্থা করে। চট্টগ্রামসহ সারা দেশের দর্শকেরা হালদা সিনেমাকে আগ্রহের সঙ্গে গ্রহণ করে। পত্রুপত্রিকায় ইতিবাচক আলোচনা প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হালদা চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তুমুল পর্যালোচনা শুরু হয়। বর্ষসেরা চলচ্চিত্র হিসাবে সুধীজনের কাছে হালদা সমাদৃত হয়ে ওঠে।

পরের গল্পটি অল্প হলেও তাৎপর্যপূর্ণ। সে-বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে হালদা চলচ্চিত্র ৫ টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে। সেরা কাহিনিকার হিসেবে আমি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করি। পাশাপাশি তিশা, মোশাররফ করিম, রুনা খান ও তৌকির আহমদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের একটি ছোট্ট ঘটনা মনে পড়ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে আছেন তথ্য মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতি মন্ত্রী খালিদ হোসেন, সাবেক তথ্য মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গলায় পদক পরিয়ে দেওয়ার সময় মন্ত্রী হাছান মাহমুদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন- আপা ইনি আমাদের নোয়াখালীর এমপি ইব্রাহিমের ছোট ভাই। আমাদের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। প্রধানমন্ত্রী হাসিমুখে বললেন, ‘হালদা নিয়ে তো সিনেমা করেছেন আপনারা। আমিও যে বড় কিছু একটা করব সেটা কি এরা জানে হাছান?’ পরের বছর হালদা নদী বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ রিভার হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঘরর হথা, হস্ট হথা
পরবর্তী নিবন্ধমঞ্চে নারী