হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি মিলনের বিরুদ্ধে নতুন পরোয়ানা

আছেন সিঙ্গাপুরে, ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

সিলভিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মিলনের কাছ থেকে বিভিন্ন ব্যাংকের পাওনা প্রায় হাজার কোটি টাকা। বিপুল অংকের এই খেলাপী ঋণ আদায়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ও সাজা পরোয়ানা রয়েছে। কিন্তু তিনি পলাতক, দীর্ঘদিন ধরে অবস্থান করছেন সিংগাপুরে। এমন অবস্থায় মিলনের বিরুদ্ধে নতুন একটি সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান।

গতকাল ডিক্রিদার ব্যাংক মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার আবেদেনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক এই আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, সিংগাপুর থেকে মিলনকে ফিরিয়ে আনতে সাজা পরোয়ানা কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশের কপি স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ-সচিব এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর প্রেরণ করা হোক।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সিলভিয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান মিলনের কাছ থেকে ২৪ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২৫৮ টাকা পায় মার্কেন্টাইল ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখা। এসব টাকা আদায়ের লক্ষে তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে অর্থঋণ মামলা এবং পরে ২০১৫ সালে অর্থ জারি মামলা দায়ের করা হয়। এরপরও তিনি টাকা পরিশোধ করেননি।

ঋণের বিপরীতে কোনো সহায়ক জামানত না থাকায় ভিন্ন পন্থায়ও টাকাগুলো আদায় করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে তিনি পালিয়ে অবস্থান করছেন সিংগাপুরে। যা ব্যাংকের পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয় এবং ঋণ আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক মিলনকে ৫ মাসের দেওয়ানী আটকাদেশ দেন এবং সাজা পরোয়ানা জারি করেন। বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, মিলন মার্কেন্টাইল ব্যাংকসহ অনেকগুলো ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। ১০ মামলার বিপরীতে যা প্রায় হাজার কোটি টাকার মতো।

এসব মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা রয়েছে। পাশাপাশি চেক ডিজঅনারের অসংখ্য ফৌজদারি মামলাতেও তিনি দণ্ডিত। বেঞ্চ সহকারী বলেন, আদালতের আদেশে বলা হয়েছে, বিদেশে পলাতক থাকায় অসংখ্য খেলাপীর বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম ফলপ্রসূ হচ্ছে না। মামলা নিষ্পত্তির সুনির্দিষ্ট সময়সীমা থাকলেও নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে না। আইনি কাঠামোর দুর্বলতার কারণে খেলাপী ঋণ আদায় কার্যক্রম ব্যর্থ হচ্ছে। যার সরাসরি বিরূপ প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধব্যবসায়ীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ৭ লাখ টাকা ওরা খরচ করল যেভাবে
পরবর্তী নিবন্ধতারেক-জোবায়দার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ