হল্যান্ড থেকে

বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া | শনিবার , ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ১১:৩৪ অপরাহ্ণ

তালেবানের পুনরুথান
কে বিজয়ী-তালেবান না পাকিস্তান?
দুই দশক পর যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটা তড়িঘড়ি করে বিদায় নিতে হলো আফগানিস্তান থেকে। প্রবল পরাক্রমশালী যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘বিদায়’ খুব একটা সম্মানজনক ছিল না। এই বিদায় ছিলনা স্বেচ্ছায়, যদিওবা তাদের আফগানিস্তানে আগমণ একেবারে অনাহুত ছিল না। কেননা বিশ্ব অবাক বিস্ময়ে দেখেছিল তালিবান সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে নির্বিকারভাবে প্রকাশ্যে নারীদের শিরোশ্ছেদ করতে, পাথর ছুঁড়ে হত্যা করতে, দেশের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলি বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে, লোহার খাঁচায় বন্দীদের শিকলে বেঁধে নিষ্ঠুরভাবে পুড়িয়ে মারতে, স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করতে, সংগীত, নাচ সমস্ত বিনোদন নিষিদ্ধ করতে, নারীদের ঘরের ভেতর অনেকটা বন্দী করে রাখতে। এই গোষ্ঠী গণতন্ত্র আর ব্যক্তি স্বাধীনতা কীভাবে হরণ করেছে সে বলার প্রশ্নই আসে না। বলা যায় এক আদিম, বর্বর যুগে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল আফগানিস্তানকে এই গোষ্ঠীটি। আর সে কারণে নাইন-ইলেভেনের পর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা শক্তি যখন আফগানিস্তান আক্রমন করে তখন সাধারণ জনগণ তাদের স্বাগত জানিয়েছিল। আঁধার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাওয়া থাকে সবার লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে হাঁটতে গিয়ে বিগত দুই দশক আফগানিস্তানের মহিলারা আলোর পথে হেঁটেছে। কেবল নারীরা নয়। মুক্ত আফগানিস্তানে স্বাধীনভাবে নিজের মতটি ব্যক্ত করতে শুরু করেছিল আফগানিস্তানের ৪ কোটি জনগণ। একটা সময় তালেবানরা দেশ থেকে বিতাড়িত হলো। শারীরিকভাবে তাদের দেশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত করতে না পারলেও তাদের ‘পাখা’ ভেঙে দিলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র বাহিনী। তবে এর জন্য আফগান জনগণকে কম মূল্য দিতে হয়নি। কখনো জঙ্গি তালেবানের আত্মঘাতী বোমা, কখনোবা যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমান কিংবা ড্রোন তাদের তাড়া করেছে। যুক্তরাষ্ট্র আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার ও প্রচুর নিজস্ব লোকজন নিয়ে গড়ে তুললো তিন লক্ষের তথাকথিত এক আধুনিক আফগান সেনাবাহিনী। উদ্দেশ্য- এই বাহিনী মোকাবেলা করবে তালেবান, আল-কায়েদা ও আর এক হিংস্র জঙ্গি গোষ্ঠী, ইসলামী স্টেইট অর্থাৎ আইসিসকে। বিশ বছরের মাথায় এসে দেখা গেলো তাতে ‘সিসিম ফাঁক’। এটি একটি কাগুজে বাঘ। যে ক’টি সরকার বিগত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছিল তারা ছিল চরম-দুর্নীতির শিরোমনি। লুটে-পুটে খেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার। যেই না যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা দিলো তারা তাদের সেনাবাহিনী ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ফিরিয়ে নেবে, তখনই এই তথাকথিত অতি-আধুনিক আফগান সেনাবাহিনীর মনোবল গেল ভেঙে এবং তারা নির্বিঘ্নে আত্মসমপর্ণ করলো তালেবানদের কাছে। বিগত ২০ বছরে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের ২৪৬২ সেনা সদস্য ও নাগরিক হারিয়েছে আফগানিস্তানে, অন্যদিকে কয়েক লক্ষ নিরীহ আফগান নাগরিক নিহত হয়েছে হয় তালিবান ও আইসিস সন্ত্রাসীদের আক্রমনে নয়তো যুক্তরাষ্ট্রের বোমার আঘাতে। যুক্তরাষ্ট্র গেছে, কিন্তু দেশটি ও জনগণকে রেখে গেছে এক বিশাল অনিশ্চয়তায়, এমন এক শাসক গোষ্ঠীর হাতে যারা মানুষের ন্যূনতম মূল্যবোধের কোন মূল্য দিতে জানে না। অন্ততঃ বিগত দিনে তাদের সেভাবেই দেখা গেছে। অনেকে বলে গত ২০ বছরে তাদের চিন্তাধারা, নীতি কিছুটা ভালোর-দিকে বদলেছে। হলে ভালো। তবে ‘কয়লা ধুলেও ময়লা যায় না’ বলে পুরানো প্রবাদ আছে। দেখা যাক। অনেকে বলেন, তালেবানদের বিশ্বাস নেই। কথাটা সত্য। তাদের উপর খোদ আফগানদের বিশ্বাস নেই বিধায় গত তিন সপ্তাহে দেখা গেছে কী হারে মরিয়া হয়ে আফগান নারী-পুরুষ, কোলের শিশু আকাশে উড়াল-দেয়া প্লেনের সাথে সাথে ছুটে চলেছে। করুণ, হৃদয় বিদারক সে দৃশ্য। ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ আফগান তালেবানদের হাত থেকে বাঁচার জন্যে স্বদেশ ছেড়েছে। তাতে আছে চিকিৎসক, সাংবাদিক ও নানা পেশাজীবীর লোকজন। শুরু থেকেই আফগানিস্তানে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে বৈরী পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হয়েছে। বেশ কয়েকটি ‘ফ্যাক্টর’ ছিল যার কারণে যুক্তরাষ্ট্র তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রথম দিকে আফগান জনগণ যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো সামরিক বাহিনীকে স্বাগত জানালেও এক সময় যখন সন্ত্রাসী-নিধনে বোমারু বিমানের আক্রমণে নিরীহ জনগণ প্রাণ হারাতে শুরু করলো তখন আফগানদের একটি বড় অংশের মাঝে মার্কিন-বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠে। অন্যদিকে ক্ষমতায় যে ক’টি সরকার ছিল গত ২০ বছরে, তারা দেশের জনগণের কাছাকাছি পৌঁছাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল, তাদের মাঝে চরম দুর্নীতির কথা তো আগেই উল্লেখ করেছি। আমেরিকা ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার দেয়া সত্ত্বেও যে সেনাবাহিনী গড়ে উঠেছিল তাদের বিশাল অংশ নিয়মিত বেতন পেত না, তাদের মাঝে জমেছিল ক্ষোভ। এমন না যে যুক্তরাষ্ট্র তা টের পায়নি, কিন্তু তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি এই দুর্নীতি কমানোর।
অন্যদিকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র পাকিস্তানের রহস্যজনক অবস্থান। যদিওবা পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ এবং সন্ত্রাস মোকাবেলায় তারা পশ্চিমা বাহিনীকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা দেবার আশ্বাস দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে তারা বিশেষ করে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, আই এস আই, আল কায়েদা নেতা বিন লাদেন সহ তালেবান ও আইসিস সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয় এবং যাবতীয় সাহায্য দিয়েছিল। বিষয়টি কারো কাছে গোপন ছিল না। নাইন-ইলেভেনের পর পাকিস্তানে লুকিয়ে থাকা আল কায়েদা নেতা বিন লাদেনকে হত্যা করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের সম্পর্কে চিড় ধরতে শুরু করে। তালেবানরা কাবুল দখলে নিলে তাদের পতাকা উড়তে থাকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদের কেন্দ্রীয় মসজিদের উপরে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সাথে সাথে তালেবানদের সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আফগানিস্তান বিদেশি দখল থেকে মুক্ত হলো।’ অথচ আল-কায়েদা ও তালেবানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত পশ্চিমা শক্তির যুদ্ধে পাকিস্তান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পাশে। আর এই কারণে অর্থাৎ উগ্র সন্ত্রাস মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বিগত ২০ বছর ধরে পেয়েছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার, যদিও যুক্তরাষ্ট্র জানতো এই অর্থের সিংহভাগ গেছে আর্মী জেনারেল ও সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে যারা আছেন তাদের পকেটে। পাকিস্তান যে তালেবানদের নির্ভর-আশ্রয়স্থল তা কোন গোপন বিষয় ছিল না। নিউ ইয়র্ক টাইমসের বেইজিং ব্যুরো প্রধান জেইন পারলেজ তার বিশেষ এক প্রতিবেদনে লেখেন, ‘পাকিস্তানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক ছিল দ্বৈততা ও বিভক্ত স্বার্থের। তালেবান গোষ্ঠী পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা, আই এস এসের সৃষ্টি ও সম্পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে জানা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে তেমন ঘোলাটে করেনি। পাকিস্তান এবং আই এস এস মনে করে তালেবানদের বিজয়ে তাদের বিজয় হয়েছে। পাকিস্তান-পুষ্ঠ ও সমর্থিত তালেবান নেতা, খলিল হাক্কানি দীর্ঘদিন পাকিস্তানের গোপন স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন যা পাকিস্তান সরকার ও পাক গোয়েন্দা সংস্থা আই এস এসের সহযোগিতায় সম্ভব হয়েছিল। পাকিস্তানের মিলিটারী হেডকোয়ার্টার রাওয়ালপিন্ডিতে তালেবান নেতা খলিল হাক্কানীর নিয়মিত যাওয়া-আসা হতো বলে উল্লেখ করেন নিউ ইয়র্কের এই মহিলা সাংবাদিক তার প্রতিবেদনে। কাবুল দখলের পর খলিল হাক্কানীকে কাবুলের এক মসজিদে উপস্থিত অনুসারীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে দেখা যায়। আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের নিরাপত্তা প্রধান হিসাবে তার অবস্থান বলে জানা যায়। যুক্তরাষ্ট্র বরাবর চেয়েছিল পাকিস্তান হাক্কানী ও তার দুই সহযোগীকে তাদের হাতে তুলে দিক। কিন্তু পাকিস্তান বরাবর বলে এসেছে তাদের অবস্থান সম্পর্কে তারা (পাকিস্তান) অবহিত নয়। এই প্রসঙ্গে পাকিস্তান সেনা বাহিনী প্রধান কমর জাভেদ বাজওয়া সি আই এ কর্মকর্তা মি: লন্ডনকে বলেছিলেন, ‘তারা কোথায় আছে আমাদের বলুন, আমরা একটা হেলিকপ্টারে করে তাদের ধরে নিয়ে আসি।’ অথচ পাকিস্তান যে কেবল খলিল হাক্কানীকে গোপন আশ্রয় দিয়েছে তা নয়, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে বিশেষ করে কোয়েটা শহরে তালেবান যোদ্ধাদের আশ্রয় থেকে শুরু করে চিকিৎসা-সেবা এমন কী প্রয়োজনে করাচি ও পেশোয়ারের হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসা দিয়েছে। অন্যদিকে, খলিল হাক্কানী পাকিস্তানে বসে রিয়েল এস্টেট ব্যবসাসহ স্মাগলিং ও অন্যান্য ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন যাতে তাদের যুদ্ধের খরচ মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারেন। আই এস এস তালেবানদের আন্তর্জাতিক মর্যাদা লাভেও সহায়তা করে আসছে। তালেবান নেতা আব্দুল গনি বারাদার দোহা, কাতার শান্তি আলোচনায় অংশ নেবার জন্যে পাকিস্তানি পাসপোর্ট ব্যবহার করেছেন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তালিবানদের এই বিজয়কে পাকিস্তান দেখছে তার চিরশত্রু ভারতের বিরুদ্ধে তাদের বিজয় হিসাবে। যেদিন ভারত কাবুল থেকে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে সমস্ত কর্মচারী ও কর্মকর্তা স্বদেশে ফিরিয়ে নেয় সেদিন পাকিস্তানের পত্র-পত্রিকায় এই ঘটনাকে তাদের ‘বিজয়’ বলে লেখা হয়। পাকিস্তান চায় আফগানিস্তানে ভারতের কোন প্রভাব যেন না থাকে। তাদের ধারণা পাকিস্তানে সমস্যা সৃষ্টির জন্যে ভারত আফগানিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলনরত বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মীকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। যদিও বা ভারত তা বরাবর অস্বীকার করে আসছে। এখানে বলা বাহুল্য, পাকিস্তানের এই গোয়েন্দা সংস্থা স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও নানা গোপন ষড়যন্ত্র করে চলেছে যা বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় নানা সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। এদিকে গত ৩১ আগস্ট কাতারে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত দীপক মিত্তালের সাথে তালেবান পলিটিক্যাল অফিসের ডেপুটি প্রধান, শের মোহাম্মদ আব্বাসের সাথে যে আলোচনা হয়, তাতে তালেবান নেতা এই বলে আশ্বাস দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানের মাটি কিছুতেই ভারতের বিরুদ্ধে কোন সন্ত্রাসের জন্যে ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। অনলাইনে পোস্ট করা এক মন্তব্যে এই তালেবান নেতা বলেন, ‘ভারত একটি মহান ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমরা তাদের সাথেও ইতিবাচক সম্পর্ক চাই।’ এখন ভারতকে ঠেকাতে পাকিস্তান তাদের পুরানো দোসর, তালেবানের প্রতি তাদের বন্ধুত্বের হাত আরো জোরদার করার জন্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের আর এক জাতশত্রু চীন আফগানিস্তানে তালেবানদের ক্ষমতা দখলকে সাধুবাদ জানিয়ে আফগানিস্তানের অবকাঠামো উন্নয়নের আশ্বাস দিয়েছে। তবে ভেতরে ভেতরে চীন কিছুটা উদ্বিগ্নও বটে। উদ্বিগ্ন এই কারণে ধর্মীয় উগ্রবাদ বা সন্ত্রাসের কারণে চীনের রয়েছে নিজের ঘরের সমস্যা। সেটি হলো উইগুরের মুসলিম সমপ্রদায়। চীনের সাথে রয়েছে আফগানিস্তানেরও সীমান্ত। চীনের আশংকা তালেবানদের ধর্মীয় উগ্রবাদ উইগুরদের মাঝে প্রভাব ফেলবে এবং তাদের আন্দোলন আরো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। ইতিমধ্যে চীনের বেশ কিছু কর্মচারী পাকিস্তানে ইসলামী উগ্রবাদীদের আক্রমণে নিহত হয়েছেন। চীন আশা করছে তাদের মিত্র দেশ পাকিস্তান আফগানিস্তানে তাদের উপস্থিতি আরো জোরালো করার ক্ষেত্রে সহায়তা দেবে, আফটার অল, পাকিস্তান ও চীন উভয়ের শত্রু ভারত। তালেবানরা এখন বলছে বটে আফগানিস্তানের মাটি থেকে বহিঃবিশ্বে এবং নিজ দেশে কোন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে দেবে না। তবে ঘুরে ফিরে উঠে আসছে সেই প্রশ্ন- তালেবানদের কতটুকু বিশ্বাস করা যায়। তালেবানদের সাথে রয়েছে আইসিস গোষ্ঠীর যোগাযোগ। যুক্তরাষ্ট্র বিদায় নিয়েছে। কিন্তু তাদের নজরদারি বিদায় নেয়নি এবং নজরদারি চলবে বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাংলাদেশকেও সজাগ থাকতে হবে। কেননা ‘আমরা হবো তালিবান, বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান’ এই শ্লোগান আমরা দেখেছি খোদ বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশে আপাতঃদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় এই গোষ্ঠীটি যে তালিবানের উত্থানে উদ্দীপ্ত হবে না সে বলা বাহুল্য।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের আওয়াজ কি ঢাকা শুনতে পাচ্ছে না
পরবর্তী নিবন্ধ‘ম্যানেজ’ অপসংস্কৃতি ও বেপরোয়া মাফিয়া আগ্রাসন