চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সাথে আন্না ব্যালেন্স’র নেতৃত্বে বৃটিশ সাহায্য সংস্থা এফসিডিওর প্রতিনিধি দল গতকাল সোমবার টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী নগর ভবনে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে মেয়র স্বাগত জানিয়ে বলেন, হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন করা গেলে দেশের উন্নয়নের সঠিক চিত্র দৃশ্যমান হবে। বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের দেশে নদী ভাঙ্গন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে অনেকেই সহায় সম্বল হারিয়ে পথে থাকার অবস্থার সম্মুখীন হন। তিনি গৃহহীনদের আবাসন সংস্থানের পাশাপাশি নগরীর বিজয় নগর কমিউনিটির ন্যায় আরো বস্তি উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার প্রস্তাব দেন। কারণ বর্তমানে বস্তিগুলোর চিত্র খুবই করুণ। এই পরিস্থিতিতে বস্তিগুলোতে স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাপনা, সুপেয় পানি সরবরাহ ও পরিচ্ছন্নতা প্রকল্পে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবো। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পটি চসিক এলাকায় বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর আওতায় বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যক্রমসহ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণে নানা ধরনের উদ্ভাবনী অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনি এলআইইউপিসির সকল কাজে চসিকের সহায়তা পাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধি দলের নেতা আন্না ব্যালেন্স নগরীর বিজয় নগর কমিউনিটি পরিদর্শনের কথা অবহিত করে বলেন,এলআইইউপিসি’র প্রকল্প বিজয় নগরের পরিবর্তন দেখে তারা খুবই সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, তাদের সংস্থা বাংলাদেশের দারিদ্র বিমোচন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে যে বরাদ্দ বিনিয়োগ করে তার মধ্যে বড় অংশ চট্টগ্রামের জন্য করা হয়। নগরীতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে এলআইইউপিসি যে প্রকল্পগুলো গ্রহণ করেছে তাতে চসিক যথেষ্ট সহযোগিতা ও উৎসাহ যুগিয়েছে। এজন্য তিনি মেয়রকে ধন্যবাদ জানান।
এ সয়ম ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এডভাইজার আনোয়ারুল হক, লাভলী লুডস এডভাইজার ফিরোজ আহমেদ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফারজানা মোস্তফা, আর্ন্তজাতিক প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইউগেস প্রাভানাগ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, এলআইইউপিসির টাউন ম্যানেজার সারওয়ার হোসেন খান ও চসিক বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মঈনুল হোসেন আলী জয় উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।
