স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন : নোবেল বিজয়ী পদার্থবিজ্ঞানী

| রবিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২১ at ৯:১৯ পূর্বাহ্ণ

স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন। ভারতীয় বিজ্ঞানী যিনি রামন ক্রিয়া আবিষ্কারের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছেন। তিনি আলোর বিচ্ছুরণের ক্ষেত্রে তাঁর মৌলিক আবিষ্কারের জন্য ১৯৩০ সালে পদার্থ বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
রমনের বাবা প্রাথমিকভাবে থিরুওয়ানাইকোভিলের একটি বিদ্যালয়ে পড়ান, পরে তিনি মিসেস এভি নরসিংহ রাও কলেজে গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞানে অধ্যাপক হন। ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের বিসাখাপত্তনম এবং পরে মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) প্রেসিডেন্সি কলেজে যোগ দেন। চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন মাত্র ১১ বছর বয়সে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ১৩ বছর বয়সে বৃত্তির মাধ্যমে এফ.এ পরীক্ষার পাশ করেন। ১৯০৪ সালে তিনি মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাচেলর অব আর্টস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯০৭ সালে সর্বোচ্চ ডিস্টিংসান নিয়ে তিনি মাস্টার অফ সায়েন্স ডিগ্রি অর্জন করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার পর ১৯১৭ সালে রমন সরকারি চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেন। একই সময়ে, তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অব সায়েন্স (আইএসিএস) -এ গবেষণা চালিয়ে যান। ১৯২৬ সালে অধ্যাপক রমন ভারতীয় পদার্থবিজ্ঞানের সাময়িক পত্রিকা প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তিনি প্রথম সম্পাদক ছিলেন। সাময়িক পত্রিকার দ্বিতীয় খণ্ডে রমন প্রভাব আবিষ্কারের প্রতিবেদন সমেত তার বিখ্যাত নিবন্ধ ‘একটি নতুন বিকিরণ’ প্রকাশিত হয়। ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি, তারিখে রমন সহযোগীদের সহায়তায় আইএসিএস-এ কেএএসএস কৃষ্ণানসহ আলোর বিচ্ছুরণের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষার নেতৃত্ব দেন যে সময় তিনি যা আবিষ্কার করেন তা বর্তমানে রমন প্রভাব বলে জানা যায়। রমন ১৯২৯ সালে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের ১৬ তম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন। তাকে একটি নাইটহুড এবং পদক প্রদান করা হয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করা হয়। রমণ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার জেতায় আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তবে ১৯২৪ সালে নোবেল পুরস্কার ওলিন রিচার্ডসন এবং ১৯২৬ সালে লুই ডি ব্রোগি পাওয়াতে হতাশ হয়েছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি পুরস্কার জেতার এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, যে তিনি জুলাইতে টিকেট কিনেছিলেন, যদিও পুরস্কারগুলি নভেম্বরে ঘোষণা করা হতো, এবং যদি সংবাদটি না আসে সেই ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়ে পুরস্কারের ঘোষণার খবরের জন্য প্রতিটি দিনের সংবাদপত্র খুঁটিয়ে দেখতেন।
অবশেষে তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন ‘আলোর বিকিরণ এবং রমন প্রভাব আবিষ্কারের জন্য’। ১৯৭০ সালের ২১ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযানজট আরও বাড়াচ্ছে বাস বে
পরবর্তী নিবন্ধশাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পি সি আর মেশিন স্থাপন করা হোক