স্বাস্থ্যবিধি : যা বলছেন ব্যবসায়ী নেতারা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৯ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

আতঙ্ক নিয়েই দোকান খুলতে যাচ্ছেন মালিক-কর্মচারীরা। একদিকে করোনার ভয়, অন্যদিকে ব্যবসায়িক লস দুটোই সমানভাবে কাজ করছে তাদের মনে। ব্যবসায়ীরা জানান, করোনায় প্রথম ধাপের ‘লকডাউনে’ অর্থনৈতিকভাবে মার্কেট ও শপিং মলের ব্যবসায়ীদের মেরুদন্ড ভেঙে পড়েছে। দুই ঈদ ও বৈশাখকে সামনে রেখে ব্যবসা বন্ধ থাকায় পথে বসার উপক্রম লাখ লাখ ব্যবসায়ী ও তাদের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের সবকিছু খোলা থাকলেও মার্কেট ও শপিংমল কেন বন্ধ রাখা হয়েছে-এমন প্রশ্ন ব্যবসায়ী নেতাদের। ব্যবসায়ীদের চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই তাই আজ শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানালো সরকার। কিন্তু কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা রয়েছে। তবে কতোটা মানা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত: কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথাও বলা হয়েছে।
রেয়াজউদ্দিন বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি মাহবুব আলী আজাদীকে বলেন, করোনার মতো এমন এক মহাদুর্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। দোকান মালিক কর্মচারীদের কাছে আমরা আহবান জানাচ্ছি, স্বাস্থ্যবিধি নিজেও মানুন, ক্রেতা সাধারণকেও মানতে বাধ্য করুন। কারণ একদিন ব্যবসা কম হলে আমার কষ্ট হবে। কিস্তু জীবনতো রক্ষা পাবে। নিজের এবং অন্যের জীবন রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমাদের প্রত্যেকের আন্তরিকতার উপর নির্ভর করবে, ভয়ংকর এ মহামারি থেকে নিজেকে ও অন্যকে আমরা কতোটা সুরক্ষা দিতে পারি।
টেরিবাজার ব্যবসায়ি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান আজাদীকে বলেন, প্রথমত: করোনার দ্বিতীয় প্রকোপে, সাধারণ ব্যবসায়িদের কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার যে এ সুযোগটা আমাদের দিয়েছেন সেজন্য ধন্যবাদ। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টা যেন দোকান মালিকরা শতভাগ নিশ্চিত করতে ১৪০ টা মাইকের মাধ্যমে বার বার আহবান জানাচ্ছি। কারণ আমরা যদি এটা না মানি তাহলে দেখা যাবে সরকার আবার দোকানপাট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, ১২ মাসের মধ্যে রমজানের মাসটিই আমরা ব্যবসা করি। গত বছর আমরা প্রচুর লস দিয়েছি। এ বছর লস দিতে চাই না। তিনি টেরিবাজার ব্যবসায়ি সমিতির পক্ষ থেকে সিএমপি কমিশনারের প্রতি আহবান জানান, জেটি থেকে পণ্যবাহী যে ট্রাকগুলো আসে সেগুলো যেন টেরিবাজার দিয়ে না ঢুকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক ও শাহ আমানত সড়ক দিয়ে ঢুকে। তাতে ক্রেতা সাধারণের সুবিধা হবে।
করোনা ভাইরাসের ঊর্ধগতির কারণে গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকানপাট, হোটেল-রেঁস্তোরাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। আজ থেকে দোকানপাট খোলা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটিকা নিয়ে ফেরার পথে লাশ হলেন প্রকৌশলী
পরবর্তী নিবন্ধশর্ত সাপেক্ষে দোকান শপিংমল খুলছে আজ