স্বাধীনতা মানে শুধু যুদ্ধ নয়, আলাদা-আলাদা গল্পের
সূত্রগুলো যেন বিনিসুতোর মালার মতো।
জট খুলতে হবে ’৫২ থেকে। হাঁটতে হাঁটতে বলতে বলতে
যুক্তফ্রন্টের নির্বাচন। একটুখানি বিশ্রাম, আবার দেখি
চড়াই-উতরাই পার হয়ে সবাই এগুচ্ছে সামনে।
’৬২-র শিক্ষা আন্দোলন। বেদনা-উচ্ছ্বাসে মানুষের স্বস্তি।
’৬৪-তে বঙ্গনেতা কানে কানে শোনায় নিউক্লিয়াসের বীজ মন্ত্র।
চিন্তার প্রসারতায় ’৬৬-তে মুক্তিসনদ। লাগাতার জোয়ার।
বিপরীতে ষড়যন্ত্রীরা নতুন বাহানায় সব ঘেঁটে দিচ্ছে।
সময়ের সাথে মানুষেরা আন্দোলন-সংগ্রামের মিছিলে মিছিলে,
গণআন্দোলনের সমুদ্র মন্থনে জাতীয় চেতনায়
গেয়ে ওঠে সবাই নতুন দিনের গান।
বীজমন্ত্রে লালিত মানুষের কথা, মানুষের সুর, মানুষের স্বপ্ন
এক সুতোয় একত্রিত করে অর্পণ করা হলো বঙ্গবন্ধুর হাতে।
বাঙালি অপচ্ছন্দের ছোট-বড়ো কিস্তিগুলো দৃশ্যমান দেখে দেখে
মানুষেরা অনেকেই বাঙালি হয়ে ওঠে। একে অপরের কাছে এসে
হাতের উপর হাত রেখে চমৎকারিত্ব দেখায় নির্বাচনী ফলাফলে।
পরিপূর্ণ বাঙালিরা স্বপ্ন দেখে দেখে চিন্তায় রেখেছিলো-
নিজেদের জন্মভূমে নিজেদের জাতীয় সংগীত,
নিজেদের জন্মভূমে নিজেদের পতাকা,
নিজেদের জন্মভূমে নিজেদের রাষ্ট্র,
নিজেদের জন্মভূমে হবে নিজেদের সরকার।
একে একে সবকিছুই নিজেদের করে নেয়ার নির্দেশনা ৭ই মার্চে!
তারপরের সময়গুলো দ্রুত গতিতে কাটে পটপরিবর্তনের ইঙ্গিতে;
যে যার মতো তৈরি হতে থাকে। ২৫ মার্চ রাত্রির মধ্য জামে
বঙ্গনেতা বঙ্গবন্ধু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত শোনান স্বাধীনতা ঘোষণায়।
সর্বস্তরের বাঙালিরা একে একে শুনে শুনে স্বপ্নপূরণের অঙ্গিকারে
শ্রেণি ভেদাভেদ ভুলে অস্ত্র হাতে নেমে পরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে।