স্বাধীনতা দিবসে নৌবাহিনীর জাহাজ সবার জন্য উন্মুক্ত

| রবিবার , ২৬ মার্চ, ২০২৩ at ৪:০৬ অপরাহ্ণ

মিসাইলসহ আধুনিক সব অস্ত্রে সজ্জিত নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বানৌজা প্রত্যাশা। স্বাধীনতা দিবসে এই জাহাজ সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে নৌবাহিনী। দর্শনার্থীরা ঘুরে দেখতে পারছেন জাহাজটি। শুধু এটি নয়, নৌবাহিনীর সব জাহাজ স্বাধীনতা দিবসে জনসাধারণের দেখার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগরের বন্দরের নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটিতে রয়েছে বানৌজা প্রত্যাশা। রোববার (২৬ মার্চ) সকাল থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করছে জাহাজটিতে। পরিদর্শন করে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ সম্পর্কে জানছে তারা। নৌবাহিনীর কর্মকর্তারাও তাঁদের কাজ সম্পর্কে দর্শনার্থীদের জানাচ্ছেন।

চট্টগ্রাম বন্দরের নৌবাহিনীর ঈসা খাঁ ঘাঁটিতে বানৌজা প্রত্যাশা এবং নগরের লাভ লেইনে অবস্থিত মেরিটাইম মিউজিয়ামটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

এর আগে সকালে যথাযোগ্য মর্যাদায় নৌবাহিনীর সব জাহাজ ও ঘাঁটিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩ উদ্যাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে নৌবাহিনীর সব মসজিদে ফজরের নামাজের পর স্বাধীনতাযুদ্ধে শাহাদত বরণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রুহের মাগফিরাত, দেশের শান্তি-সমৃদ্ধি এবং উন্নতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ ছাড়া সব জাহাজ ও ঘাঁটিসমূহে ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ এবং ‘মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত স্কুল, কলেজ, নেভি অ্যাংকরেজ এবং শিশু নিকেতনসমূহে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা, কুইজ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

বানৌজা প্রত্যাশার নির্বাহী কর্মকর্তা কমান্ডার রাকীব মোহাম্মদ হাবীব বলেন, নৌবাহিনী প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সর্বসাধারণের জন্য যুদ্ধজাহাজ উন্মুক্ত করে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা নৌবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ধারণা লাভ করছে। এ ছাড়া নতুন প্রজন্ম দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পারছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নৌবাহিনী আজ একটি পেশাদার ও ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। সমুদ্রসম্পদ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও বিভিন্ন যুদ্ধ সরঞ্জাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিআইইউতে স্বাধীনতা দিবসে আলোচনা সভা
পরবর্তী নিবন্ধস্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানেও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি