স্বপ্রণোদিত হয়ে বিচারকের মামলা র‌্যাবকে তদন্তের নির্দেশ

আজাদীতে চকরিয়ার দুই প্রতিবেদন

চকরিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২১ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৩১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সীমানা দেয়াল লাগোয়া সংরক্ষিত বনভূমিতে চলমান ভয়াবহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড সংক্রান্তে দৈনিক আজাদীতে গত ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত ‘বালু উত্তোলনে হুমকির মুখে সীমানা দেয়াল’ এবং ১৮ এপ্রিল ‘খালের মাঝখানে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ’ শীর্ষক প্রকাশিত দুটি সংবাদ আমলে নিয়েছেন উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত। গতকাল বুধবার আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব স্বপ্রণোদিত হয়ে এ সব ঘটনা আমলে নিয়ে এই সংক্রান্তে একটি নির্দেশনাও দেন।

আদালত সূত্র জানায়, পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষাসহ সরকারি স্বার্থকে বিবেচনায় নিয়ে আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত দুটি সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দেশনা দেন। এই ঘটনায় একটি মিচ মামলাও (০৭/২০২২) রুজু করেন আদালতের বিচারক।

একইসাথে পরিবেশ বিধ্বংসী এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে তদন্তপূর্বক জড়িতদের নামসহ আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে র‌্যাব-১৫ কঙবাজারের কমান্ডারকে। আগামী ২৩ মে প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী তারিখ ধার্য্য করেছেন আদালত। আদালতে রুজুকৃত এই মিচ মামলায় দৈনিক আজাদীতে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোও সংযুক্ত করা হয়েছে।

গত দুইবছরের বেশিসময় ধরে চলমান বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের সীমানা দেয়াল লাগোয়া সংরক্ষিত বনভূমিতে পরিবেশ বিধ্বংসী এ সব কর্মকাণ্ড নিয়ে আদালত স্বপ্রণোদিত আদেশ দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর।

প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ ছিল, চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারিপার্কের সীমানা দেয়াল লাগোয়া ডুলাহাজারা ইউনিয়নের রংমহলের দাঙ্গারবিল, পাগলির বিলসহ বিভিন্ন স্থান থেকে গত দুইবছর ধরে সংরক্ষিত বনভূমির টিলা ও সমতল ভূমির মাটি কেটে অপসারণের পর শক্তিশালী ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে ভূ-গর্ভস্থ বালি উত্তোলন করে আসছিল প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট। পরিবেশ বিধ্বংসী এই অপতৎপরতা বন্ধে উপজেলা প্রশাসন, বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে অভিযান চালালেও ফের অবৈধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল প্রভাবশালী সিন্ডিকেটটি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধসাতজনের যাবজ্জীবন