স্ত্রী শ্যালিকাকে জবাইয়ের পর রোহিঙ্গা যুবকের আত্মহত্যা

কুতুপালং ক্যাম্প

উখিয়া প্রতিনিধি | শনিবার , ২৪ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:৫১ পূর্বাহ্ণ

স্ত্রী ও শ্যালিকাকে জবাইয়ের পর আত্মহত্যা করেছেন এক রোহিঙ্গা যুবক। গতকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে। পারিবারিক কলহের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি প্রতিবেশীদের।
প্রতিবেশী রোহিঙ্গারা জানান, কুতুপালং মেগা ক্যাম্পের ২/ইস্ট ক্যাম্পের ডি-৭ ব্লকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহত রোহিঙ্গারা হলেন আলী হোসেনের ছেলে নুরুল ইসলাম (৩২), তার স্ত্রী আবদুল হাইয়ের মেয়ে মরিয়ম বেগম (২৬) ও নুরুল ইসলামের শ্যালিকা হালিমা খাতুন (২২)। নিহত নুরুল ইসলামের চাচা আবদুল জব্বার (৫২) বলেন, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে কলহ চলছিল। গতকাল বিকেলে এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামী নুরুল ইসলাম ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী মরিয়মকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় এবং প্রায় সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হওয়ায় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশীরা ব্যাপারটি তেমন গুরুত্ব দেননি। তবে এক পর্যায়ে শ্যালিকা হালিমা ঘরের বাঁশের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ঝগড়া থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় নুরুল ইসলাম দা দিয়ে তাকেও কোপান। এতে এক পর্যায়ে হালিমা ঢলে পড়লে নুরুল ইসলাম নিজের দা দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করেন। পরে পার্শ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে এসে স্বামী স্ত্রীকে নিথর পান এবং গুরুতর আহত হালিমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তাদের সংসারে ৩টি সন্তান আছে।
তাদের আত্মীয় হামিদ হোসেন জানান, স্বামী স্ত্রীর ঝগড়া নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু যারা ব্লক ও হেড মাঝি আছেন তারা টাকার বিনিময়ে সালিশ বিলম্বিত করায় এমনটি ঘটেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। কুতুপালং উক্ত ক্যাম্পের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপ-সচিব মো. রাশেদুল ইসলাম খুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী, স্ত্রী ও শ্যালিকাসহ তিনজন খুন হয়েছেন।
উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সনজুর মোরশেদ কুতুপালং ক্যাম্পে একই পরিবারের তিনজন খুনের ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের কারণে এ খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে আসলে কী কারণে এতবড় খুনের ঘটনা ঘটেছে তা উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার জেলা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধকোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ দই, কোথাও খাদ্যে রং