পটিয়ায় ইউএনডিপির (ইউনাইটেড ন্যাশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম) এক ভুয়া কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নের হরিণখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত মা সমাবেশে যোগ দেন ইউএনডিপি কর্মকর্তা পরিচয় দেয়া ড. মাহী ইমতিয়াজ খান! বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুর উর রশিদ চৌধুরী এজাজের সভাপতিত্বে মা সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারী হাবিবুল হক চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন। এ কর্মকর্তার গতিবিধি ও কথাবার্তায় অসংগতি পরিলক্ষিত হলে তাকে মঙ্গলবার রাতে নগরীর কাজীর দেউড়িতে হুইপের অফিসে কৌশলে ডেকে নেওয়া হয়। এক পর্যায়ে তার পরিচয়পত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায় তিনি একজন প্রতারক। পরে তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে মুচলেকা নিয়ে হুইপের অফিস থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ইউএনডিপির অর্থায়নে একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা বলে পটিয়ার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন ভুয়া কর্মকর্তা ড. মাহী ইমতিয়াজ খান। উপজেলার হরিণখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশে বক্তব্য শেষে তিনি নগরীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ওঠেন। এরই মধ্যে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠজনের সঙ্গে কৌশলে যোগাযোগ করে পটিয়ায় একটি হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ওইদিন বিকেলে উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে নির্মাণ অনুষ্ঠানে মধ্যহ্নভোজেও অংশ নেন।
হুইপের ব্যক্তিগত সহকারী হাবিবুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, ইউএনডিপির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি পটিয়ায় কিছু প্ল্যান নিয়ে কাজ করার আগ্রহ দেখান। শুরু থেকে তাকে সন্দেহ হয় এবং তা যাচাই বাছাই করে ও কথাবর্তায় অসংগতি পাওয়ায় তাকে ভুয়া হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অবশ্য পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
হরিণখাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি এম এজাজ চৌধুরী জানিয়েছেন, ইউএনডিপির কর্মকর্তা পরিচয়ে ওই লোক তাদের পূর্ব নির্ধারিত একটি মা সমাবেশে যোগদান করেছেন। তবে কিভাবে অনুষ্ঠানে যোগদান করেছেন তা তিনি জানেন না বলে জানান।