সেরাম থেকে আজ এলো ১০ লাখ ডোজ

করোনা টিকা

আজাদী অনলাইন | শনিবার , ৯ অক্টোবর, ২০২১ at ৮:১২ অপরাহ্ণ

অবশেষে প্রায় সাড়ে সাত মাস পর ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে করোনাভাইরাসের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ডের ১০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।

আজ শনিবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে এসব টিকা রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা।

বেক্সিমকোর পক্ষে কর্মকর্তারা এসব টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি। বিডিনিউজ

তিনি বলেন, “টিকা আনার জন্য ত্রিপক্ষীয় যে চুক্তি হয়েছিল সেই চুক্তির আওতায় কেনা টিকার অংশ হিসেবে এসব টিকা এসেছে। টিকাগুলো আমাদের ওয়্যারহাউজে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বুঝিয়ে দেব।”

পরের চালান কবে আসবে তা এখনও জানা যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চুক্তির আওতায় বাকি টিকাগুলো কবে আসবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। এটা ভারতের পারমিশনের ওপর নির্ভর করে।”

এ বছর ২৫ মার্চ কোভিড মহামারী পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটলে ভারত টিকা রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। এরপর থেকে নানান চেষ্টা ও আলোচনা চললেও সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে আর টিকা পায়নি বাংলাদেশ।

এর আগে ২৬ মার্চ দেশটি থেকে সর্বশেষ ১২ লাখ ডোজ টিকার চালান এসেছিল। এ নিয়ে প্রায় সাড়ে সাত মাস পর আবার ভারত থেকে কোভিশিল্ডের টিকা এলো।

প্রতিবেশী দেশটির সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে কোভিশিল্ডের ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনার জন্য গত বছরের নভেম্বরে চুক্তি করে বাংলাদেশ।

চুক্তি অনুযায়ী, এ বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে সরকারের কেনা টিকার ৫০ লাখ ডোজ, ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে টিকা আসে ২০ লাখ ডোজ।

এছাড়া ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ টিকা পায় বাংলাদেশ।
টিকার প্রথম চালান আসার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

দুই চালানে ৭০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর পর ভারতে করোনাভাইরাস মহামারী ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়লে টিকা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।

ফলে সেরাম ইন্সটিটিউট টিকা পাঠানো বন্ধ করে দেয়।

তবে কোভ্যাক্স সহায়তায় গত ২৪ জুলাই জাপান থেকে প্রথম চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আসে।

এছাড়া ৩১ জুলাই ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ, ৬ আগস্ট ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ, ২১ আগস্ট দেশে আসে ৭ লাখ ৮১ হাজার ডোজ এবং ২৮ আগস্ট ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৯০০ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ।

এর বাইরে চীন থেকে কেনা সিনোফার্মের টিকা এবং কোভ্যাক্স থেকে ফাইজার ও মডার্নার টিকা পাওয়া গেলে দেশে আবার ১ জুলাই থেকে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের উস্কানি দমনে বদ্ধপরিকর
পরবর্তী নিবন্ধবান্দরবানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু