সেন্টমার্টিনে ৩ শতাধিক পর্যটক আটকা কাল পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র

টেকনাফ প্রতিনিধি | রবিবার , ৫ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

৫ ও ৬ ডিসেম্বর সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল থাকায় সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এর ফলে ভ্রমণে থাকা তিনশতাধিক পর্যটক আটকে গেছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপে। তারা দ্বীপেই অবস্থান করবেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত। তবে রোববার আবহাওয়া স্বাভাবিক হয়ে গেলে পরের দিন সোমবার জাহাজ চলাচল শুরু করার কথা রয়েছে।
৪ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় রোববার সকাল থেকে সোমবার পর্যন্ত টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পরের দিন জাহাজ চলাচল আবার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি আবহাওয়ার ওপর নির্ভর করবে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকবাহী জাহাজগুলো পুনরায় সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে।
তিনি জানান, যেসব পর্যটক টিকিট কেটেছিলেন, তাদের টাকা ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণে এসে দ্বীপে রাত্রীযাপনকারী পর্যটকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়েও সেখানকার আইনশৃক্সখলা বাহিনীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, কক্সবাজারসহ দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যার কারণে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়াতে এই রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে শনিবার সেন্টমার্টিনে যাওয়া জাহাজগুলো টেকনাফে ফিরেছে। বেড়াতে এসে ৩০০ এর বেশি পর্যটক স্বেচ্ছায় দ্বীপে রয়েছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফিরে আসতে পারবেন। এই রুটে পাঁচটি জাহাজ চলাচল করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জাহাজ চলাচলে আবার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে টেকনাফের দমদমিয়া জেটিঘাট থেকে পাঁচটি জাহাজে হাজার দেড়েক পযর্টক সেন্টমার্টিনে বেড়াতে যান। এর মধ্যে প্রায় পর্যটক ফিরে এলেও দু’শতাধিক রয়ে গেছেন। যদিও এর আগের কয়েকদিনে যাওয়া আরও শতাধিক পযর্টক দ্বীপে অবস্থান করছেন। শনিবার বিকেলে ও সন্ধ্যায় পাঁচটি জাহাজ ঘাটে ফিরে আসে।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, কয়েকশ পর্যটক দ্বীপে রাত্রীযাপন করছেন। তারা সবাই ভালো আছেন। তাদের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।
এদিকে জাওয়াদ আরও শক্তিশালী হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এ কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব ধরনের নৌযানকে দ্রুত নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনোয়াবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬