সেই ক্রস ফিলিং কারখানা সিলগালা

আজাদীতে সংবাদ প্রকাশ ।। পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদীতে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে পাঁচলাইশ থানাধীন হামজারবাগ গাউছিয়া আবাসিকের ফজলুর অবৈধ সেই ক্রস ফিলিং কারখানা সিলগালা করে দিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাউকে না পেয়ে কারখানার দুদিকের প্রবেশ ফটক সিলগালা করে দেওয়া হয়।
পাঁচলাইশ থানার ওসি আবুল কাশেম ভুইয়াসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে অংশ নেয়। এর কিছু সময় পর অভিযান পরিচালনা করে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ সময় কাউকে না পেয়ে একটি নোটিশ কারখানার দরজায় ঝুলিয়ে দেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, ২০ ডিসেম্বর আজাদীতে ‘গাউছিয়া আবাসিকে থামেনি ক্রস ফিলিং; মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা সিলিন্ডার ব্যবহার; প্রবাসীর ফেসবুক লাইভ, ব্যবস্থা নেওয়ার আকুতি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এরপর পাঁচলাইশ থানা পুলিশের সহযোগিতায় চসিক অভিযান চালায়। এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি আজাদীতে ‘বোতলজাত গ্যাসের বিপজ্জনক ক্রস ফিলিং; নগরীতে জড়িত ১০ সিন্ডিকেট, ঝুঁকিতে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা’ শীর্ষক প্রধান প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর প্রশাসনের অভিযান, মামলা করার পরে বেশ কয়েক দিন বন্ধ থাকলেও পুনরায় ক্রস ফিলিং হয় কারখানাটিতে।
নগর পুলিশ উত্তর পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, হামজারবাগ গাউছিয়া আবাসিকে জনবহুল এলাকার মধ্যে অবৈধভাবে ক্রস ফিলিং কারখানা করেছিল ফজলু নামের এক ব্যক্তি। অভিযানের সময় কাউকে না পাওয়ায় সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কারখানাটি সিলগালা করে দেন।
চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী আজাদীকে বলেন, জনবহুল এলাকায় বিপজ্জনকভাবে গ্যাস সিলিন্ডারের ক্রস ফিলিং করে আসছিল ফজলুর রহমান নামের একজন। আমরা দুপুরে যখন যাই তখন কারখানাটি বন্ধ ছিল। কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে কারখানাটির সিলগালা করে দিয়েছি।
পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক নূরুল্লাহ নূরী আজাদীকে বলেন, আজাদীতে প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর আজ (মঙ্গলবার) গাউছিয়া আবাসিকে গ্যাসের ওই কারখানায় আমাদের কর্মকর্তারা গেছেন। কিন্তু এর আগে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে আমরা নোটিশটি কারখানার দরজায় ঝুলিয়ে দিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসার্ভার নষ্ট, অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ না পেয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা
পরবর্তী নিবন্ধপাঁচ সপ্তাহে সবচেয়ে কম মৃত্যু