পাঁচ সপ্তাহে সবচেয়ে কম মৃত্যু

দেশে আরো ১৩১৮ জন শনাক্ত

| বুধবার , ২৩ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৫:৪৬ পূর্বাহ্ণ

করোনাভাইরাসে দেশে একদিনে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত পাঁচ সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে কম। সর্বশেষ গত ১৪ নভেম্বর এর চেয়ে কম মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেদিন ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এর মাঝে ২০ নভেম্বরও ১৭ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত একদিনে মারা যাওয়া ১৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনায় মোট ৭ হাজার ৩২৯ জনের মৃত্যু হলো। ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৩১৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৫ লাখ ৩ হাজার ৫০১ জন হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ২ হাজার ২৩৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত একদিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৪১ হাজার ৯২৯ জন হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
বাংলাদেশে করোনার প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ; তা ৫ লাখ পেরিয়ে যায় ২০ ডিসেম্বর। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ২৭তম স্থানে আছে বাংলাদেশ আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৩তম অবস্থানে। বিশ্বে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৭ কোটি ৭৪ লাখ পেরিয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ১৭ লাখ ৩ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১৩টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ১৯টি জিন-এঙপার্ট ল্যাব ও ২৯টি র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ সর্বমোট ১৬১টি ল্যাবে ১৫ হাজার ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩১ লাখ ৬ হাজার ৪৯৪টি নমুনা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৬৯টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ৬ লাখ ৩৪ হাজার ৮২৫টি। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
গত একদিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ১১ জন পুরুষ আর নারী ৬ জন। তাদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে ও ১ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ৯ জন ঢাকা বিভাগের, ৪ জন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং ১ জন করে মোট ৪ জন রাজশাহী, খুলনা, সিলেট ও রংপুর বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেই ক্রস ফিলিং কারখানা সিলগালা
পরবর্তী নিবন্ধবহির্নোঙরে যায়নি কোনো জাহাজ