সূর্যমুখী ফুল থেকে তৈরি হবে তেল বাঘাইছড়িতে কৃষি বিভাগের প্রকল্প

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৪ মার্চ, ২০২১ at ৮:৫৯ পূর্বাহ্ণ

বাঘাইছড়িতে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে সূর্ষমুখী ফুল চাষ। আর এসব ফুল থেকে তৈরি হবে তেল। রাঙামাটি কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগে সূর্ষমুখী ফুল চাষ হলেও বাঘাইছড়িতে প্রথমবারের মত চাষ করা হচ্ছে।
কৃষি কর্মকর্তা কুন্তেল রায় চাকমা জানান, জেলায় প্রথমবারের মত পরীক্ষামূলকভাবে সূর্ষমুখী চাষ শুরু হয়েছে। এটি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের একটি পাইলট প্রকল্প। এখানে সফলতা আসলে আগামীতে চাষিদের উৎসাহিত করব। প্রথমবার ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। তারপরেও চাষিদের বলেছি কেউ বিক্রি করতে না পারলে কৃষি বিভাগ কিনে নিবে। সূর্ষমুখীর তেল স্বাস্থ্যসম্মত। এটা সরিষার চেয়েও অনেক ভালো। হার্টের রোগ নিরাময়েও এই তেল ব্যবহার করা হয়। রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শ্যামল চাকমা বলেন, আমার এলাকার কৃষকদের উৎসাহিত করা হবে।
বাঘাইছড়ির রূপকারী ইউনিয়নের মগবান এলাকার স্নেহাংশু চাকমা জানান, বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে সূর্যমুখী সম্পর্কে জেনে এটি চাষ করতে আগ্রহী হই। পরে কৃষি কর্মকর্তা কুন্তেল রায় চাকমা চাষ উপযোগী জমি বাছাই, বীজতলা তৈরি, সার, কীটনাশক ও বিভিন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। আমি ৩৩ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এটির চাষ শুরু করেছি। চাষে সফলতা পেলে আগামীতে আরো চাষ করব এবং প্রতিবেশীদের চাষ করতে উৎসাহিত করব।
স্নেহাংশু চাকমা আরো বলেন, সূর্ষমুখী তেল সম্পর্কেও অনেক কিছু জেনেছি। সূর্ষমুখী চাষে সফলতা আসলে মানুষ আর সরিষা চাষ করবে না। সূর্ষমুখী তেল সরিষার তেলের চেয়ে অনেকগুণ ভালো ও উপকারি।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক আপ্রু মারমা বলেন, বাঘাইছড়িতে সূর্যমুখী ফুল চাষে ১০ জন চাষিকে ১০ বিঘা জমি ও সার-বীজ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, সূর্যমুখী থেকে ৪৭ ভাগ তেল উৎপাদন করা যায়। বর্তমানে প্রতি কেজি ফুল ৫০-৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, সূর্যমুখী চাষ করতে হলে প্রথমে দানাগুলো পানিতে ১-২ রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। অংকুর গজালে ১২-১৪ ইঞ্চি দূরে দূরে সারিবদ্ধভাবে চারার মত রোপণ করতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএসসিপুত্রের উদ্যোগ বিদ্যালয়ের জন্য দিলেন ৩৩ শতক জমি
পরবর্তী নিবন্ধবঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ১২ নাবিক পরিবারকে ২৪ লাখ টাকা অনুদান