দু’দিন পর পর এক একটা কুরুচিপূর্ণ ও বিব্রতকর ইস্যু সামাজিক মাধ্যমে উত্থাপিত হয়, আর এসব অশ্রাব্য ইস্যুগুলোই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয়বস্তু ও সমগ্র জাতির মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
আমাদের দেশের মেইনস্ট্রিম সংবাদমাধ্যমগুলো এসব বিষয় লাগাতার ফলাও করে প্রচার করে। প্রতিদিন এমন অরুচিকর ও নোংরা বিষয়গুলো নিয়ে সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীগণ রাতদিন টক-শো গুলোতে কথা বলছেন। একে অপরের প্রতি দোষারোপ করে কেউ কেউ আবার রাগে, দুঃখে, ক্ষোভে ফেটে যাচ্ছেন। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় অবাচ্য এসব প্রসঙ্গ।
অথচ আমাদের দৈনন্দিন চর্চার বিষয়গুলো হওয়া উচিত ছিল; মানবসম্পদ উন্নয়ন, জ্ঞান-বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি, অর্থনীতি ও সমাজ ব্যবস্থা, জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপির প্রবৃদ্ধি। গণতন্ত্র-সমাজতন্ত্র, আধুনিক জ্ঞানতত্ত্ব, নন্দনতত্ত্ব থেকে ধর্মতত্ত্ব গঠনমূলক আলোচনা হতে পারে যে কোন বিষয়ে। বিশেষ করে প্রজন্ম কেন এসব নিরর্থক বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট করবে।
অসুস্থ এক সমাজে অত্যন্ত অচিত্তাকর্ষকভাবে আমাদের দিনগুলো এভাবেই অতিবাহিত হচ্ছে। মহামারীর চাইতেও ভয়ঙ্কররূপে মানুষের মগজে মগজে ছড়িয়ে পড়া এসব অসুস্থতা আমাদের পারিবারিক সামাজিক ও জাতীয় জীবনে যে বিরূপ প্রভাব ফেলছে সে বিষয়ে চিন্তা ও এর থেকে মুক্তির উপায় খুঁজে বের করা দরকার। তাছাড়া সমাজে সহনশীলতা ও সহমর্মিতার যে অভাব লক্ষণীয় সে সমস্যা সমাধানের পথ আমাদের অবশ্যই বের করতে হবে। মননচর্চার ক্ষেত্রগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রসারিত করতে হবে।