সংঘাতের মধ্যে পোর্ট সুদানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের মধ্যে আরও ১৭৬ জন বাংলাদেশি সৌদি আরবের জেদ্দা পৌঁছেছেন। গতকাল বুধবার স্থানীয় সময় বিকাল ২টা ৪০ মিনিটে সুদানের বদর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হন বলে জানিয়েছেন সুদান–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনিসুর রহমান। সাড়ে ৩টার দিকে তারা জেদ্দায় পৌঁছান। নিজেও ওই ফ্লাইটে থাকার কথা জানিয়ে আনিসুর বলেন, বুধবার (গতকাল) যে তিনটি ফ্লাইট যাবে প্রতিটিতে ১৭৬ জন করে মোট ৫২৮ জন যাওয়ার কথা রয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
এর আগে গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সুদানে থাকা আরও ৫৫৫ বাংলাদেশির ফেরানোর সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সুদানের বিমান সংস্থা বাদার এয়ারলাইন্সের তিনটি ফ্লাইটে বুধবার এবং আরেকটি ফ্লাইটে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (আজ) তাদেরকে জেদ্দায় আনা হবে। বাংলাদেশি নাগরিকদের সুদান থেকে যে গতিতে নিয়ে আসব ভেবেছিলাম সেটি হয়নি, দেরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আমাদের নিজেদের খরচে চারটি ফ্লাইটে পোর্ট সুদান থেকে জেদ্দা এয়ারপোর্টে নিয়ে আসা হবে। আজকে (গতকাল) তিনটি ফ্লাইট অপারেট করবে, আগামীকাল (আজ) একটি ফ্লাইট অপারেট করবে জেদ্দা পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার বা আগামীকাল নাগাদ এই বাংলাদেশিরা জেদ্দা থেকে ঢাকা রওনা করবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা সবাই নিরাপদে আছেন। আমরা খার্তুমের সিডিএকে প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠিয়েছি। রান্না করে বা শুকনো খাবার, যখন যেটা উপযোগী সেটার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
গত ১৫ এপ্রিল সুদানে সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ ও আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে লড়াই শুরু হওয়ার পর কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছেন। রাজধানী খার্তুম ও আশপাশের আবাসিক এলাকাগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে নাগরিক পরিষেবা। সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে খার্তুমে দেড় হাজারের মতো বাংলাদেশি অবস্থান করার কথা জানায় সরকার। গত ২ মে রাতে তাদের মধ্যে ৬৮২ জন পোর্ট সুদানে পৌঁছান। তিন সপ্তাহ সুদানে আটকে থাকার পর প্রথম দফায় গত ৮ মে জেদ্দা হয়ে ঢাকায় ফেরেন ১৩৬ জন বাংলাদেশি।