সীতাকুণ্ডে ঝরনার পানিতে বন্ধুদের নিয়ে সাতার কাটার সময় পানিতে ডুবে মো. তাহমিদ মুনতাসির চৌধুরী (১৮) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার বিকাল ৪টায় উপজেলার বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নের সহস্রধারা ঝরনায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিদ নগরীর খুলশীর কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার মৃত এরশাদ হোসেনের পুত্র।
সে এবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ জানায়, দুপুরে তাহসিন ও আকিল নামের দুই বন্ধুকে নিয়ে সহস্রধারা ঝরনায় ঘুরতে আসেন স্কুল ছাত্র তাহমিদ। বিকেলে তিন বন্ধু মিলে ঝরনার পানিতে সাঁতার কাটতে নামেন।
সাতারের এক পর্যায়ে তাহসিন ও আকিল সাতরে উঠে গেলেও ঝরনার জলপ্রপাতের মাঝামাঝি স্থানে গিয়ে তাহমিদ ডুবে যায়। এ ঘটনার পর উপস্থিত স্থানীয় লোকজন বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন।
পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ ছুটে যান। তাদের পাশাপাশি খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যান সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দীর্ঘ এক ঘন্টার প্রচেষ্টার পর ঝরনার পানিতে ডুবে যাওয়া ওই ছাত্রের মরদেহটি উদ্ধার করেন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের জ্যৈষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. নুরুল আলম দুলাল বলেন, ঝরনার পানিতে সাতার কাটতে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্র ডুবে যান। খবর পেয়ে বিকালে তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যাওয়ার পাশাপাশি পানি থেকে তাহমিদের মরদহটি উদ্ধার করেন। পরে মরদেহ সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বলেন, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে সীতাকুণ্ডের এ ঝরনায় যেতে হয়। যার ফলে এই ঝরনায় পৌঁছানোর পর অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েন পর্যটকরা। দুর্বলতার কারণে ঝরনার পানিতে ডুবে এ স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
তিনি জানান, বিনা ময়না তদন্তে মরদেহ পেতে স্বজনরা আবেদন করেছেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
