সিকি শতাব্দীতে প্রথম অ-গান্ধী সভাপতি পেতে যাচ্ছে কংগ্রেস

| বুধবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ভারতের প্রধান বিরোধীদল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা পদে প্রায় ২৫ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম নেহেরু-গান্ধী বংশের বাইরের কাউকে দেখা যাওয়ার জোর সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে পরবর্তী নির্বাচনে লড়তে নামার আগে দলের ভেতর বড় পরিবর্তনের অংশ হিসেবেই নেতৃত্বে এ পরিবর্তন আসছে বলে দলটির একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। খবর বিডিনিউজের।
ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার লড়াই চলাকালে ১৩৭ বছর আগে জন্ম নেওয়া কংগ্রেস ভারতের শেষ দুটি সাধারণ নির্বাচনে মোদীর হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছে। কংগ্রেসের অনেক প্রভাবশালী নেতা রাহুল গান্ধীর দুর্বল নেতৃত্বকে দায় দিয়ে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগও দিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত রাহুলের মা, রাজীব গান্ধীর স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীকেই ফের দলের হাল ধরতে হয়। অবশ্য তিনিও ২০১৯ সাল থেকে ‘ভারপ্রাপ্ত সভাপতি’ হিসেবেই দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি সময় ভারতের ক্ষমতায় থাকা দলটির নেতৃত্বে বেশিরভাগ সময়ই গান্ধী পরিবারের কেউ না কেউ ছিলেন। সর্বশেষ এ পরিবারের বাইরে কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছিলেন সীতারাম কেসরী। তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত দলটির শীর্ষ নেতার দায়িত্ব সামলেছেন। এরপরই দায়িত্বে আসেন সোনিয়া গান্ধী, দীর্ঘদিন সভাপতি থাকার পর তিনি ওই পদ ছেলের হাতে ছেড়েছিলেন। প্রায় ৯ হাজার প্রতিনিধির ভোটে নতুন সভাপতি ঠিক হবে। এবারের দৌড়ে সবচেয়ে বেশি নাম শোনা যাচ্ছে গান্ধী পরিবারের অনুগত, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের নাম। দক্ষিণের রাজ্য কেরালা থেকে নির্বাচিত লোকসভা সদস্য, একসময় জাতিসংঘে বড় পদে কাজ করা শশী থারুরও চলতি সপ্তাহে তার মনোনয়নপত্র জমা দেবেন বলে জানিয়েছে কংগ্রেসের একাধিক সূত্র। এর বাইরে রাজ্যসভার বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাগড়েও সভাপতির লড়াইয়ে থাকতে পারেন বলে কংগ্রেসের অনেক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। দলের নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ২২ সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ১৭ অক্টোবর ভোট হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভাইরাস দিয়ে ক্যান্সার চিকিৎসায় বড় সাফল্য
পরবর্তী নিবন্ধইতালিতে কট্টর ডানপন্থী জর্জা মেলোনির জয়