সাধনপুরে বঙ্গবন্ধু

মো. আবু জাহের চৌধুরী | বুধবার , ১৭ মার্চ, ২০২১ at ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ

সাধনপুরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য বর্ণনা করতে গেলে ইহা সত্য যে সাধনপুর জ্ঞান অন্বেষণে, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চায় এতদ্‌ঞ্চলের পথিকৃত। চন্দ্রবংশীয় শাসন, পাল, সেন এবং দেব শাসনের সুদীর্ঘ হাজার বছরের শাসনকালে বাংলা কিংবা চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধ সভ্যতা, সংস্কৃতি, ধর্ম, দর্শন সমভাবে মর্যাদা পেয়েছিল।
পাল রাজাদের পরবর্তীতে দেব রাজাদের শাসনকালে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের সমন্বয়বাদী ধারা বঙ্গদেশে জাতিতাত্ত্বিক অধ্যায়ে ধর্মীয় উদারতায় সমৃদ্ধ মানবিকবোধের সজ্ঞার জন্ম দেয়। দেব শাসনের পরেই মুসলিম শাসনের আরম্ভ। আরাকান রাজাদের চট্টগ্রাম অভিযান ও দখল, চট্টগ্রামে ধর্মীয় সামাজিক নৃ-তাত্ত্বিক ইতিহাসের পরিবর্তন ঘটে। বিভিন্ন রাজাদের আগমন, দখল ও শাসনকালে প্রচুর অভিবাসন তথা মানুষ সুবিধামত রাজ্যে গিয়ে বসবাস ও নিজেদের সংস্কৃতির এমনকি ধর্মের, সংস্কৃতির প্রসার ঘটায়। এ অভিবাসনকালে রাঢ় ও বরেন্দ্র অঞ্চলের হিন্দুদের চট্টগ্রাম আগমন ঘটে, প্রায় বার শতকে, কিন্তু ইতিপূর্বেও হিন্দু বসতির প্রমাণ পাওয়া যায়, এরা ছিল মৎস্যজীবী, তন্তুবায়ী এবং অস্ত্র-নির্মাণকারী (কামার-কুমার) বিশেষ করে চট্টগ্রামে এ সময়ে দুইটি বসতি স্বাতন্ত্র নিয়ে প্রতিষ্ঠা লাভ করে বাঁশখালীর সাধনপুর ও চক্রশালা পরগনায়।
চট্টগ্রামে হিন্দু সমাজের প্রতিষ্ঠা ও প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আদি ও অন্যতম পূর্বপুরুষদের একজন দৈবকী নারায়ণ রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান থেকে বাঁশখালীর সাধনপুর গ্রামে আসেন ষোল শতকে। গৌড়ের সুলতান নসরৎ শাহের আমলে তথায় আর্থসামাজিক বিপর্যয়ের কারণে গৌড় এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে হিন্দু-মুসলিম পরিবার ও সাধনপুর আগমন করত বসতি স্থাপন করেন। সম্ভবত তৎমধ্যে হযরত আলেক শাহ (রাঃ) পূর্বপুরুষ সহ হযরত খলিল মুন্সী, সফর আলী মুন্সী, নওয়াজিশ চৌধুরী, বদল মুন্সী (জমিদার), কমল মজুমদার, প্রমুখ। মধ্যযুগ থেকে এ সাধনপুরে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সম্প্রীতিতে অগ্রগামী ছিলেন। এ সময়ে সর্বাধিক আলোচিত বহুল সমাদৃত কাব্যগ্রন্থ “মনসামঙ্গল”, প্রকাশকাল ১৬৮৯ খ্রিঃ। এ গ্রন্থের লেখক মহামহিম রামজীবন বিদ্যাভূষণ। তিনি আরো একটি গ্রন্থ রচনা করেন এ গ্রন্থের নাম “আদিত্য চরিত”।
আঠারো শতকের শেষের দিকে মৌলিক রচনার কবি সাহিত্যিকদের মধ্যে সর্বশেষ আলোক-উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ফকির চাদদাস, তাঁর মূল্যবান গ্রন্থ “পদ্মলোচন” তিনিও সাধনপুরের অধিবাসী।
অভিবাসীরা (আর্য-ব্রাহ্মণ্য সমাজের শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবানরা-কুলীন) বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে এসে বসবাস করতে আরম্ভ করে। ব্রিটিশ শাসনকালে এরাই তাবেদারী করে জমিদারী, সম্পদের মালিক হন, এরাই বাংলার কুলীন। সমাজে এদের সুবিধার জন্য শিক্ষার প্রসার, এদের সুবিধার জন্য ধর্মের প্রচার, মসজিদ, মন্দির নির্মাণ। আদি অধিবাসী শোষিত নির্যাতিত কৃষক, তাতী, জেলে, কামার-কুমার এদের উন্নয়ন অর্থাৎ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষা ও চিকিৎসার সুব্যবস্থা কেউই করে নাই, অদ্যবধি এ ব্যবস্থা অতীব সীমিত। কালের আবহে কখনো কখনো মেধার স্ফুরণ ঘটেছে মাত্র, এ অবস্থা, এ চিত্র ভারতবর্ষের সর্বত্র। শতাব্দির পর শতাব্দি গত হয়েছে, কত রাজা-বাদ্‌শা গত হয়েছে, স্বাধীনের পর পুনরায় স্বাধীন হয়েছে কিন্তু ঐ অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। কালের পরিক্রমায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নের কারণে জীবনের ভোগ-উপভোগ বেড়ে গেছে, এসব ভোগ করতে সম্পদ, ক্ষমতার প্রয়োজন। ক্ষমতার উৎস গণতন্ত্র, বিশ্ব ও গণতন্ত্রের নামে শোষণ প্রক্রিয়ার পক্ষে। এ গণতন্ত্র বাঁচাতে নিপীড়িত, শোষিত জনগণের প্রয়োজন। এ ফাঁকে এই সুযোগে নির্যাতিতরা সুখের সন্ধান দেখতে পায়। কুলীনদের ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই আজ সুযোগ সন্ধানীদের অপরাধের বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, জনপ্রশাসন এর সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে না। বর্তমানের উন্নয়নও ঐ নির্যাতিত শ্রেণীর, কৃষি ক্ষেতে, বিদেশে ঘাম ও রক্ত ঝরা আয়ের কারণ-এতে কুলীনদের কোন অবদান নেই- ভোগের বেলায় কুলীনরা।
সাধনপুরের অধিবাসীদের মধ্যে সে ধারাবাহিকতা বহমান রয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ঊনিশ শতকের শেষের দিকে জন্মগ্রহণ করেন অপর কীর্তিমান সন্তান শিক্ষাবিদ, লেখক, অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র সিংহ (১৮৯০ খ্রিঃ)। সাধনপুরে আর এক ক্ষণজন্মা কীর্তিমান বিদ্বজ্জন সমাজে সাম্য, অসহায়ত্বের অবসান কামনায় মানবকল্যাণকামী নিবেদিত প্রাণ অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমুদ। তিনি ১৯১৪ খ্রিঃ সাধনপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করে। এ সাধনপুর আলোকিত করেছেন, রামজীবন বিদ্যাভূষণ, ফকির চাদদাস, অধ্যক্ষ যোগেশ চন্দ্র সিংহ, অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ, নীহার রঞ্জন বিশ্বাস, এছাড়াও অনেক শিক্ষানুরাগী শ্রম ও চেষ্টা করে সমাজকে আলোকিত করণে অবদান রাখেন-আহমদুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, এয়াকুব আলী (পোস্ট মাস্টার), আবদুল বারী, ইউসুফ আলী, ইন্সপেক্টর আহমদ হোসেন, উকিল সুরেন্দ্রনাথ নন্দী, জগবন্ধু দে, জালাল আহমদ, আবদুস সাত্তার, মৌলভী বদি আহমদ, শেখ হাফিজুর রহমান, ডাঃ আহমদ আলী, অধ্যাপক ননী গোপাল দত্ত, মাষ্টার মালেকুজ্জামান, মাষ্টার তারাকিঙ্কর দত্ত, সৈয়দ আহমদ, হিমাংশু বিমল চৌধুরী (গোপাল চৌধুরী), অজিত রুদ্র, মাষ্টার বি. নন্দী, অনঙ্গ মোহন ধর অধ্যক্ষ আবদুল ওয়াদুদ, ডা. রুহুল আমীন, ডা. নুরুল আমীন, আবু সোলায়মান, ওঙ্কার নাথ বিশ্বাস, অধ্যাপক সাধন দত্ত, হাফেজ আহমদ গান্ধি, মাষ্টার কবির আহমদ, ছগির আহমদ, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মোমেন, শামশুজ্জামান, রশিদ আহমদ, দবির উদ্দীন, কমলাঙ্কু বিশ্বাস, চারণ কবি ফেরদৌস আহমদ, চারণ কবি আহম্‌দ আলী, অনন্ত মোহন দে, নিকুঞ্জ বিহারি দে, উকিল গোলাম মোস্তফা, মীর মহীহুল কবির প্রমুখ এরা প্রাতঃস্মরণীয়। ১৯৩৬ খ্রিঃ সাধনপুর মাইনর স্কুলটি বাণীগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহিত সমন্বিত হওয়ার পর গ্রাম স্কুল শূন্য হয়ে পড়ে। ১৯৪২ খ্রিঃ আসহাব উদ্দিন আহমদ সাধনপুর পল্লী মঙ্গল জুনিয়র স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন।
পরবর্তীতে মাষ্টার মালেকুজ্জামান শ্রম, অর্থ, জমি দিয়ে এ স্কুলটিকে আজকের সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিণত করেন। ১৯৭৯ খ্রিঃ প্রতিষ্ঠিত হয় সাধনপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এছাড়া এ গ্রামে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
মাষ্টার মালেকুজ্জামান মহোদয়ের সুযোগ্য সন্তান অধ্যাপক শহীদুল আলম (বুলবুল) ২০০৯ খ্রিঃ তাদের বাড়ির আঙ্গিনায় প্রতিষ্ঠা করেন মাষ্টার মালেকুজ্জামান চৌধুরী কিন্ডারগার্টেন এ স্কুলটি বিকল্প ধারার প্রতিবাদী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শিক্ষা দার্শনিক মন্টিসরির ভাব-ধারায় এ স্কুলটি পরিচালিত হচ্ছে। অজপাড়াগায়ে অনন্ত শিখা। এ বিদ্যালয়ে আধুনিক চিন্তার বিকাশ সাধনে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া হয়। বিশেষ লক্ষণীয় যে, গ্রামের সন্তানের মা’দের পরিবেশের অভাবে এরা বদ্ধমতের কারাগারে বন্দি হয়ে থাকে, এ বিদ্যালয়ে মা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় এবং এ সমাবেশে ছেলে-মেয়েদের প্রতি, সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে তাদের উদ্বুদ্ধ করা হয়। অধিকন্তু তাদের সন্তানদের পরিবেশিত নাচ, গান, অভিনয় ইত্যাদি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড উপভোগ করেন প্রাণবন্তভাবে।
সেকালে-একালেও আরো অনেক সংস্কৃতি সাধক অনন্ত চক্রবর্ত্তী, কৃরণ চক্রবর্ত্তী, এনামুল হক চৌধুরী, আনোয়ারুল ইসলাম, শহীদ ফজল করিম চৌধুরী, মাষ্টার আবদুস সত্তার প্রমুখ। এছাড়া খেলাধুলায়ও সাধনপুরের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। অধ্যক্ষ যোগেশচন্দ্র সিংহ মহোদয়ের বাড়ি হতে এগারজনের একটি ফুটবল টিম গঠন করা যেত, অন্যান্যরা ছিলই।
সাধনপুর গ্রাম থেকে ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধেও অংশগ্রহণ ছিল। শাহজাহান আলী, আবু সোলায়মান, রাখাল দাস এবং ফরিদুল আলম এরা সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। সাধনপুরে যুদ্ধকালীন সময়ও পরস্পরের সৌভ্রাতৃত্ব বজায় ছিল।
সাধনপুর গ্রাম স্বীয় আলোয় উজ্জ্বল থেকে প্রোজ্জল । আরো আলোরশিখা চার পাশে, গ্রামের পশ্চিম পার্শ্বে ডোংরা গ্রামের শিক্ষক, সাংবাদিক নজির আহমদ চৌধুরী, ড. আবদুল করিম উত্তর পার্শ্বে আধ্যাত্মিক সাধক শিবকল্পতরু শ্রীমৎ স্বামী অদ্বৈতানন্দ পুরী, দক্ষিণে শাহ বদিউল আলম পূর্ব পার্শ্বে, ছোট ছোট টিলা পাহাড় অরণ্যে সুশোভিত পঠে আঁকা আমাদের ছোট গাঁ।
সাধনপুর গ্রাম বিভিন্ন সময়ে বীরপুত্র জন্ম দিয়ে দেশ ও জাতিকে ধন্য করেছে। ১৯৫৪ খ্রিঃ বাঙালির জাগরণের ক্ষণে পূর্ব পাকিস্তানে যুক্তফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ এম.এল.এ নির্বাচিত হন।
সাধনপুর গ্রামের পশ্চিম পাশে শঙ্খনদী থেকে দক্ষিণে বাংলাবাজার হয়ে বঙ্গোপসাগরে পর্যন্ত একটি খাল প্রবাহিত। এ খালের মাধ্যমে তৎকালীন সময়ে বাঁশখালীবাসীর যোগাযোগ, ব্যবসা, বাণিজ্য বিশেষ করে উৎপাদিত লবণ চট্টগ্রাম শহরে নেওয়ার একমাত্র পথ ছিল। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে এ খাল ভরাট হয়ে গিয়েছিল।
যুক্তফ্রন্ট নির্বাচিত মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হওয়ার পরই ১৯৫৫ খ্রিঃ অধ্যাপক আসহাব উদ্দিন আহমদ, পানি উন্নয়ন মন্ত্রী জনাব কপিল উদ্দিনসহ মৌলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী, আরো অনেক উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সাথে শেখ মুজিবুর রহমান সাধনপুর এসেছিলেন। সাধনপুর পল্লী উন্নয়ন জুনিয়র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে বসে বাদাম খেয়ে খেয়ে সহযোগী নেতাদের গল্প করেছিলেন। এ মহান নেতার পদধুলিতে সাধনপুর পল্লি উন্নয়ন জুনিয়র স্কুলের মাঠ ধন্য হয়েছে। এ মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং মৌলানা ভাষানীর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র স্থান হিসেবে একটি স্মৃতি ফলক স্থাপনের দাবী রাখে।
শিক্ষানীতি না থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে লেখাপড়া শেষ করার পরও তাদের কল্পনা, জিজ্ঞাসা, দায়িত্ববোধ, সত্যের প্রতি গভীর আনুগত্য, সৎ-সাহস, দেশপ্রেম, মানবিক গুণ অর্জিত হচ্ছে না। শিশুদের মনের যথার্থ বিকাশে পরিবার, সমাজ, বিদ্যালয়, সকলেরই বিশিষ্ট ভূমিকার প্রয়োজন। এদেশে অল্প বয়সীরা যা শিখছে তার নাম নি-নৈতিকতা (ধসড়ৎধষরংস), শুভ নাস্তিক্য (পুহরপরংস- জঘন্য পাপ, অপরাধ জেনেও করা), যে কোন উপায় বিত্ত-প্রতিপত্তি, প্রবৃত্তির সুখ-ভোগ, করার কলাকৌশল। বড় মাপের একটা সমাজ বিপ্লব না ঘটাতে পারলে আমাদের সম্পূর্ণ অধঃপতন ঠেকানো যাবে না। সে আন্দোলনে আমাদের সকলেরই কিছু কিছু করণীয় আছে। অধ্যাপক শহীদুল আলমের এ স্কুল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজের সচেতনতা, সমাজ অনুশীলন. আমাদের সমাজের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর তথা মা-বোনদেরকে বিকশিত করার উদ্যোগ মাইলফলক হয়ে থাকবে। আজ এ স্কুলটির পথচলার দশ বৎসর পূর্ণ হল আমরা এ প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘজীবন কামনা করি। এ কথা সত্য যে, ইতিহাসের গতি অনেকটাই মানুষের ভাবচিন্তা এবং সমবেত প্রচেষ্টার উপর নির্ভর করে। সাধনপুর গ্রামে শিক্ষা-সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরম্পরা হিসেবে অধ্যাপক শহীদুল আলম চৌধুরী, এডভোকেট অনুপম বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার রেজাউল মনির রানা, এমরানুল হক, ফরিদ আহমদ, মাওলানা নুরুল ইসলাম, আশফাকুল আলম, এডভোকেট মো. জহরুল হক প্রমুখ গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে মনোনিবেশিত আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের পঞ্চাশ বছরের বাড়ি ও পিতার জন্য এক সমুদ্র ভালোবাসা
পরবর্তী নিবন্ধআবদুস সাত্তার চৌধুরীর মূল্যায়ন করেনি প্রশাসন