সাতকানিয়ায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১শ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার

ফ্লাইওভার নির্মাণ ও সড়ক দখলমুক্ত করার অংশ হিসেবে উচ্ছেদ অভিযান

সাতকানিয়া প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:১৪ অপরাহ্ণ

সাতকানিয়ার কেরানীহাটে অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ১শ’ কোটি টাকার সম্পত্তি উদ্ধার করেছে দোহাজারী সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সারাদিন অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে এসব সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়।
কেরানীহাট এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ ও জনদুর্ভোগ কমাতে সড়ক দখলমুক্ত করার অংশ হিসেবে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সওজ কর্মকর্তারা।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রমতে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট গরুর বাজার থেকে রাস্তার মাথা পর্যন্ত এলাকায় দুই পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। অনেকে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করেছে। এছাড়া সড়কের দুই পাশে ছিল অসংখ্য ভাসমান দোকান। সড়ক ও জনপথ বিভাগ আজ অভিযান চালিয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম জোনের সম্পত্তি ও আইন শাখার ডেপুটি সেক্রেটারি মনোয়ারা বেগম।
দোহাজারী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ বলেন, “চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ার কেরানীহাট এলাকায় সড়কের দুই পাশে সওজ’র জায়গা অবৈধভাবে দখল করে কিছু লোক পাকা, সেমিপাকা ও কাঁচা দোকান নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তাদেরকে বারবার নোটিশ দেয়ার পরও জায়গা দখলমুক্ত করে দেয়নি। ফলে আমরা অভিযান চালিয়ে এক থেকে তিন তলা বিল্ডিং, সেমিপাকা ও কাঁচাসহ অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১শ’ ১৫টি স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়ে জায়গা উদ্ধার করেছি। সব মিলিয়ে প্রায় তিন একর জায়গা উদ্ধার করা হয়েছে।”
তিনি আরো জানান, সাতকানিয়ার কেরানীহাটে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। এছাড়া জনদুর্ভোগ কমাতে এ সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। এসবের অংশ হিসেবে সওজ’র জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হয়েছে। সড়ক বিভাগের এক ইঞ্চি জায়গাও কেউ অবৈধভাবে দখলে রাখতে পারবে না। উদ্ধারকৃত জায়গা যাতে পুনরায় বেদখল করতে না পারে সেই বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও সড়কের দুই পাশে থাকা সওজ’র জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতা প্রয়োজন। তারাও যদি প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখে তাহলে সড়ক বিভাগের জায়গা আর কেউ দখল করতে পারবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাবেক কাউন্সিলর কাদের জামিনে মুক্ত
পরবর্তী নিবন্ধখাবারে কীটনাশক, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সংরক্ষণ