সহানুভূতির ছোঁয়ায় উষ্ণতার পরশ

বিভাস গুহ | শনিবার , ২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। ঋতুচক্রের বৈচিত্রে হেমন্তের পর বাংলায় শীতের দোর্দণ্ড প্রতাপে আগমন ঘটে দীন দুঃখী গরীব অসহায় মানুষের জন্য কষ্টকর এক অনুভূতি নিয়ে। বিশেষ করে ছোট্ট শিশু এবং বয়স্কদের জন্য শীতের তীব্রতা যেন অত্যন্ত কষ্টদায়ক।

যদি প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্র তাদের জন্য না থাকে। শহরের রাস্তায় পথ চলতে গিয়ে দেখা যায় ফুটপাতে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষ ভোরবেলা কিংবা সন্ধ্যার পর শীতের হিমেল হাওয়ায় প্রয়োজনীয় শীতবস্ত্রের অভাবে কুঁজো হয়ে বসে কাঁপতে কাঁপতে নিদারুণ কষ্টে রাত পার করতে। প্রতীক্ষায় থাকে কখন ভোর হবে সূর্য উঠবে রোদ এসে সারা রাতের হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা হয়ে যাওয়া শরীরটা একটুখানি উষ্ণতার ছোঁয়া পাবে।

প্রতিটা জীবই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি জীবের প্রতি সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে প্রতিটি মানুষের কিছু না কিছু দায়িত্ব থাকে। সে দায়িত্ববোধ থেকে মানুষের পাশে যেকোন পরিস্থিতিতে পাশে থাকা উচিত। আমাদের উচিত যার যার অবস্থান থেকে শীতার্ত মানুষগুলোকে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করা। অন্ততঃ প্রতিবেশী শীতার্ত মানুষটির পাশে এসে দাঁড়ানো।

যেসব ভাসমান মানুষ ফুটপাতে জীবন যাপন করে তাদের জন্য আমরা সরকারের কাছে আশা করতে পারি পুনর্বাসনের। কারণ আমরা গর্ব করে বলতে পারি আমাদের একজন মানবতার মা আছে। আমাদের একজন প্রধানমন্ত্রী আছেন যাঁর কাছে মানবতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় শক্তি। মানবতার জন্য যিনি বিশ্বমাঝে সমাদৃত। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যদি না থাকে তবে মানবতা অর্থহীন হয়ে যাবে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী মায়ানমারের লক্ষ লক্ষ মানুষকে আমাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আমাদের দেশের ভাসমান মানুষগুলোকে তিনি অবশ্যই পুনর্বাসন করবেন এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্বপ্নসারথি
পরবর্তী নিবন্ধঐতিহাসিক লালদিঘির মাঠ এবং চট্টলার প্রিয় নেতা মহিউদ্দীন চৌধুরী