সম্প্রীতি বাড়াতে

সৈয়দা সেলিমা আক্তার | রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

দাতা হিসেবে দান করতে গেলে সর্বজনীন করে যাবার একটা চিন্তা যেসব মানুষের আছে, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শহিদ নূতন চন্দ্র সিংহ। কুন্ডেশ্বরী বলতে আমরা তাঁকেই বুঝি। তাঁর নাতি রাজীব চন্দ্র সিংহের স্ত্রী কস্তুরী সিংহের দাওয়াতে আমার যাওয়ার সৌভাগ্য হয়ে ছিলো। কস্তুরীর শ্বশুর শাশুড়ি দুজনের মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠানে। কস্তুরীর প্রথম সন্তান রথির জন্মের পর আমি হাসপাতালে দেখতে গেলে ওর শ্বশুর মশাইয়ের সাথে আমার সরাসরি সাক্ষাৎ হয়। এমএ পড়ার সময় ফোনে কথা হয়েছিলো। ওর শ্বশুর মশাই তাঁর বউমাকে ডেকে দিতেন ওকে আমার সাথে কথা বলার জন্য। কুন্ডেশ্বরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সাথে পরিবারকে সম্পৃক্ত রেখেছে। তাদের অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও আছে। হোস্টেল প্রসঙ্গে আসি, আমাদের অনেক পরিচিতরাই তাঁদের হোস্টেলে ছিলেন। সব ধর্মের স্টুডেন্ট থেকেছে। বাড়িসংলগ্ন তাঁদের পারিবারিক মন্দিরও আছে। সেখানে যথাবিহিতভাবে প্রার্থনা হয়। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে কুন্ডেশ্বরী মেলাতেও। সব ধর্মের মানুষকে খাওয়ানো হয়। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুন্ডেশ্বরীর মত সর্বজনীন হলে সামপ্রদায়িক সমপ্রীতি ও সৌহার্দ্য বাড়বে বলে আমি মনে করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবর্ষায় মাতৃমাছ ধরা বন্ধ করুন
পরবর্তী নিবন্ধচলুন নিজেদের দাম্পত্য জীবনকে সুন্দর করি