সম্পর্কের নির্ভরতা

রেহেনা আকতার | বুধবার , ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

একজন আদর্শ স্বামী বাবার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। একজন মেয়ের যত বায়না, আবদার বাবার কাছে ঠিক ততোটা-ই আবদার একজন নারীর তার স্বামীর কাছে। অবশ্য স্বামীটি যদি হয় মনে প্রাণে একজন দায়িত্ববান পুরুষ এবং সহধর্মিণীর আদর্শ বর। তবে, সব স্বামী কখনোই বাবার মতো নয়। যাদের হয় তারা বড় ভাগ্যবতী। একজন মেয়ের বিয়ের পর সংসার জীবনে শত ঝড়-ঝাপটাতে টিকে থাকার মূল প্রেরণা, শক্তি, সাহস একমাত্র তার স্বামী। ঠিক একইভাবে আবার একজন আদর্শ সহধর্মিণী আর একজন মায়ের মাঝেও বেশ মিল খুঁজে পাওয়া যায়। একজন মা ঠিক যেমন করে নিজে না খেয়ে ভালো খাবারটুকু আগে তার আদরের সন্তানের জন্য তুলে রাখেন, ঠিক তেমনি একজন আদর্শ স্ত্রীও তুলে রাখেন তার ভালোবাসার প্রিয়তম’র জন্য। মায়ের মতো করে তার নিত্য প্রয়োজনীয় প্রতিটি জিনিস গুছিয়ে রাখা হতে শুরু করে- তার পছন্দ, অপছন্দের খেয়াল, শারীরিক শুশ্রূষা, মানসিক সাপোর্ট, সহযোগিতা, সহমর্মিতা সহ মায়ের পরে একজন পুরুষের সব কিছুর দেখভাল করে থাকেন তার সহধর্মিণী। একজন মা যেমন করে বাচ্চা বয়সে সন্তানকে পরম যত্নে লালন-পালন করে থাকেন ঠিক তেমনি করে জীবন সায়াহ্নে যখন শারীরিক অক্ষমতার কারণে অন্যের উপর নির্ভর হতে হয়, সেবার প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন স্ত্রীই একমাত্র নিঃস্বার্থভাবে সেবা, ভালোবাসা দিয়ে অক্ষম স্বামীটির পাশে থেকে সঙ্গ দিয়ে যান প্রতিনিয়ত। বেঁচে থাকুক ভালোবাসা। আরো সুদৃঢ় হোক প্রতিটি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। অটুট থাকুক একের প্রতি অন্যের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আমৃত্যু।
লেখক: কবি

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅসহায়দের সহায়তা করা সামর্থ্যবানদের কর্তব্য
পরবর্তী নিবন্ধনৌপথে যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন